রাজধানীতে আবর্জনা স্তূপে মানুষের হাড়গোড়

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীতে আবর্জনার স্তূপ থেকে মানুষের কঙ্কাল (১৬ টুকরা হাড়গোড়) উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো পাঁচটি পলিথিনের বস্তায় রাখা ছিলো। পুলিশ ধারণা করছে, উদ্ধার করা কঙ্কাল একজন নারী ও একজন পুরুষের। গতকাল শুক্রবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মাতুয়াইল ডাম্পিং স্টেশনে এ হাড়গোড়ের সন্ধান পায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কঙ্কালগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ৫টি পলিথিনের বস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় মানুষের মাথার দুটি খুলি, সাতটি পায়ের অংশ, কিছু পচে যাওয়া হাড় এবং লাশের কিছু অর্ধগলিত অংশ। সংগৃহীত অংশগুলো মিলিয়ে দুটি লাশ শনাক্ত করা গেছে। লাশগুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো সূক্ষ্মভাবে কাটা হয়েছে। এগুলোর ডিএনএ প্রোফাইল সংগ্রহ করে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে হাড়গোড়গুলো কটি লাশের হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, সিআইডি এবং ডিবির এক্সপার্ট টিম বিষয়টি তদন্ত করবেন। লাশগুলো কোথা থেকে আনা হয়েছে এবং কিভাবে খুন করা হয়েছে , পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানান।dead-body_880

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ হারুন জানান, প্রতি রাতে ৫০টি ট্রাকে করে বর্জ্য ডাম্পিঙে ফেলানো হয়ে থাকে। রাতে টোকাইরা (পথ শিশু) ডাম্পিং থেকে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে টোকাইরা ৪/৫টি ব্যাগে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ দেখতে পায়। পরে সকালে বিষয়টি তিনি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশে খবর দেন। মাতুয়াইল এলাকার ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আনোয়ার জানান, প্রতি রাতে টোকাইরা ডাম্পিং থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে তার কাছে বিক্রি করে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে তারা বস্তাবন্দি লাশ দেখে ভয় পেয়ে চলে আসে। তাই মনে হচ্ছে লাশগুলো বৃহস্পতিবার রাতেই ডাম্পিঙে এসেছে। তা না হলে আরও আগেই টোকাইরা খোঁজ পেত।