ভ্রাম্যমাণ

 

ভ্রাম্যমাণ

স্টাফ রিপোর্টার: বছর ঘুরে বিজয় দিবস এলেই পতাক বিক্রেতাদের রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়। পতাকা বিক্রেতাদের পতাকা নিয়ে ঘোরা সড়কের শুধু শোভাবর্ধনই করে না, সাধারণ পথচারীদেরও মনে করিয়ে দেয় মহান বিজয় দিবস আগমনীর কথা। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের রাস্তায় যারা পতাকা বিক্রি করেন তাদের অধিকাংশই বহিরাগত।

আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এ দিনটি সমগ্র জাতীর গর্ভের দিন ও বিজয়ের দিন। বিজয়দিবসকে সামনে রেখেই শুধু নয়, জাতীয় দিবসগুলো এলেই  পতাকা বিক্রেতাদের দেখা যায় রাজধানী ও চুয়ডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদসহ জেলা উপজেলা শহরে। তারা বিক্রি করে কাপড়ের পতাকা, মিনি পতাকা, কাঠি পতাকা, মাথার রেবন ও রাবারসহ অনেক কিছু। বাঙালীর প্রাণের ওই পতাকা কীভাবে অর্জিত হয়েছিলো; ওই পতাকার মান মর্যাদা কতোটুকু! সেটা পতাকা বিক্রেতারা জানে এবং ওই পতাকার জন্য গর্ববোধও করে। চুয়াডাঙ্গা শহরে পতাকা বিক্রি করতে এসেছে বেশ কয়েকজন তাদের মধ্যে বাবু চন্দ্র শীল। বাড়ি তার বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জোলার দশমিনার দক্ষিণ দাশপাড়া গ্রামে। পিতার নাম মনোহর চন্দ্র মীল। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। ব্যাক্তি গত জীবনে সে বিবাহিত। তার রয়েছে ১ ছেলে ও এক মেয়ে। গতকাল রোববার ঘড়ির কাটা যখন প্রায় ১২টা ছুই ছুই তখন তার সাথে কথা হয় চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে। এতো রাতে এখানে কেন এমন প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন ১২টা বাজার সাথে সাথে অনকেই  ১৬ ডিসেম্বরকে বরণ করতে মিনি পতাকা, কাঠি পতাকা, মাথার রেবন ও রাবার পরে বলণ করবে। তিনি জানান শুধু মাত্র বিজয়ের মাস মাস, ভাষা দিবসের মাস এবং পহেলা বৈশাখ এলেই তিনি এ পতাকা ফেরী করে বিক্রি করে। আর অন্য সময় মাছের ঘেরের ব্যবসা করেন। পতাকা ফেরী করে প্রতি সিজেনে কম করে হলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হয় বলে জানান বাবু। তিনি জানান পতাকা ফেরী করলে দু টাকাও হয় আবার দেশ-বিদেশ ঘুরাও হয়। প্রত্যেকটি দিবসের অন্তত এক সপ্তা আগে বাড়ি থেকে বের হয় তার পর ঢাকা থেকে পাইকারি কিনে প্রথমে কোনো স্কুলে পাইকারি বিক্রি শেষ হলেই বের হয়ে পড়ে বিভিন্ন জেলাতে। মিনি পতাকা, কাঠি পতাকা, মাথার রেবন ও রাবারসহ বিভিন্ন দ্রব্য অন্য জেলার মতো চুয়াডাঙ্গাতেও বেশি কিনছেন যুবকরা। আর চুয়াডাঙ্গায় উটেছেন হোটের অবকাশে।

            মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর শহরে পতাকা বিক্রি করতে এসেছে হাসিব মিয়া (২৪)। খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত আলী আকবর মিয়ার ছেলে হাসিব মিয়া। গতকাল রোববার দুপুরের দেখা হয় পতাকা বিক্রেতা হাসেম মিয়ার সাথে। সে জানায়, শুধু বিজয়ের মাসেই নয়। স্বাধীনতার মাস, ভাষা দিবসের মাস এলেই পতাকা বিক্রি করতে আসি। ঢাকার কদমতলী থেকে পাইকারি দামে কাঠি পতাকা, মাথার ব্যান্ড পতাকা, হাতের বেসলেট পতাকাসহ ছোট-বড় সব ধরনের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকি। বয়সে তরুন পতাকা বিক্রেতা হাসিব মিয়া আরো জানায়, বিগত ২ বছর মেহেরপুরে পতাকা বিক্রি করতে আসছি। স্বাধীনতার সূতিকাগার বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী মুজিবনগরে এর আগে পতাকা বিক্রি ভালো হয়েছে। এবার হরতাল অবরোধের কারণে মুজিবনগরে যেতে পারেনি। আর যেয়েও কোনো লাভ হবে না কারণ বাইরে থেকে পর্যটকরা তো আসছে না। গত ১৪ ডিসেম্বরে মেহেরপুরে এসেছি। বিক্রি শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর হরতাল না থাকলে বাড়ি ফিরবো।