বিজয় দিবস : বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ সহিংসতা প্রতিরোধের প্রত্যয়

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ, বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করা, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা, স্বাধীনতাবিরোধীদের সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও স্বনির্ভর সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের মধ্যদিয়ে গতকাল সোমবার পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধানবত জাতি ফুলে ফুলে ভরে দেয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। সেখানে সর্বস্তরের লাখো মানুষের ঢল নামে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা শহরের চিত্রও ছিলো প্রায় অভিন্ন। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে তা পালন করে।

‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’ শিরোনামে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এবার সবচেয়ে বড় মানব পতাকার বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এতে অংশ নেয় ২৭ হাজার ১১৭ জন স্বেচ্ছাসেবী। একই সাথে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪টা ৩১ মিনিটে তিন লাখেরও বেশি বাঙালি এক সময়ে একসাথে গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত। এক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হয় বিজয় দিবসের কর্মসূচির। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরেও ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি পালন শুরু হয়। ঢাকায় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিন বাহিনীর একটি দল শহীদদের প্রতি জানায় সশস্ত্র সালাম। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী ৪৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবনে একটি স্মারক ডাকটিকেট ও একটি উদ্বোধনী খাম উন্মোচন করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনী নিয়োজিত থাকায় এ বছর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়নি।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা হুইল চেয়ারে বসে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবুল মাল আব্দুল মুহিত, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ওবায়দুল কাদের, শাহজাহান খান, ড. হাসান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহিলাদের আলোচনাসভা ও ক্রীড়া প্রতযোগিতার আয়োজন করা হয়। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসন পত্নী শারমীন আক্তার। উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার নাফিস সুলতানা, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জেলা মহিলা সংস্থার সম্পাদক সেলিনা খাতুন। উপস্থাপনায় ছিলেন কাবেরী করিম।

সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের  লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা ও সিম্পোজিয়াম এবং  শান্তি ও অগ্রগতির পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতি গতকাল সোমবার উদযাপন করেছে মহান বিজয় দিবস-২০১৩। হাজার হাজার জনতার স্রোত মিলেছিলো জাতীয় স্মৃতিসৌধে। ফুলে ফুলে ছেয়ে গিয়েছিলো বাঙালির অহঙ্কার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এদিকে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশেই মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়।

সুখি, সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর সোনার বাংলা গড়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতি গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারিভাবে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। বর্ণাঢ্য আয়োজন ও দিনভর আলোচনাসভা এবং নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সারাদেশের মতো চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ঝিনাইদহসহ আশপাশ এলাকায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

দিনব্যাপি চুয়াডাঙ্গায় নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বর মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ। গতকাল ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা এলাকার সকল সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমূহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয়। সকাল সোয়া ৬টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আ.লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। উত্তোলন করা হয় জেলা আ.লীগের দলীয় পতাকা। সকাল ৭টায় শোভাযাত্রাসহকারে শহীদ হাসান চত্বরের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী। ওই মনোজ্ঞ মার্চ-পাস্ট ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৫৭টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক  সংগঠন ও ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ছিলো  বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস্, আনসার, ভিডিপি, বয়স্কাউট, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ ও হলুদ পাখিসহ বাহারি রঙের বিভিন্ন সংগঠন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালেতালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় সাথে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা নবাগত পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান। প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাবুদ্দিনের  চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক স্টেডিয়াম মাঠে আগত সকলের উদ্দেশে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুন্ন রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সুখি, সমৃদ্ধ, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বনির্ভর সোনার বাংলা গড়ার বিচারের দৃঢ অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে ভাষণ দেন। ভাষন শেষে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালামগ্রহণ করেন তিনি। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত শরীরচর্চা প্রদর্শনী। পরে মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কুচকাওয়াজ ‘ক’ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশু সদন, ২য় স্থান অধিকার করে গার্লস গাইড সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে রোভার স্কাউট আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজ। ‘খ’ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২য় স্থান অধিকার করে ফুলকুড়ি শিশু বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে কাবদল ইসলামপাড়া পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ‘ক’ বিভাগের ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি শিশুসদন, ২য় স্থান অধিকার করে রাহেলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা জিমনেসিয়াম। ‘খ’ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করে ইসলামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাবদল, ২য় স্থান অধিকার করে কচিকণ্ঠ কিন্ডারগার্টেন এবং ৩য় স্থান অধিকার করে আল-মদিনা ইসলামী একাডেমী।

দুপুর ১২টায় ছেলেদের জন্য নান্টুরাজ সিনেমাহল এবং মেয়েদের জন্য পান্না মুভিজ সিনেমাহলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। একই সময় দুপুর ১২টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উন্মুক্ত মঞ্চে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা সম্মাননা উপহার দেয়া হয় এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সাংসদ মরহুম মীর্জা সুলতান রাজা, আলমডাঙ্গার সাফায়েতুল ইসলাম ও জীবননগরের মরহুম আফছার আলী মিয়াকে সম্মাননা ক্রেস্টপ্রদান করা হয়। ৩ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এনডিসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।

দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, শিশুসদন, অন্ধস্কুল, কারাগার ও ভবোঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ জোহর সকল মসজিদ, প্যাগোডা, গীর্জা, মন্দির ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির শান্তি অগ্রগতি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।

বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। প্রথম প্রীতি ফুটবল ম্যাচের ১ম খেলায় মুখোমুখি হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান খেলোয়াড় ও প্রাক্তণ খেলোয়াড়রা। খেলায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কৃতী খেলোয়াড় মাহমুদুল হাসান লিটনের দেয়া গোলে ১-০ গোলে জয়লাভ করে প্রাক্তণ খেলোয়াড় একাদশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা একাদশ ও চুয়াডাঙ্গা সোনালী ক্লাব।  আকর্ষণীয় তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় জেলা প্রশাসন একাদশ ও পৌরসভা একাদশ। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে জেলা প্রশাসন একাদশের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন ও সহঅধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মল্লিক সাইফ মাহাবুব। অপরপক্ষে পৌরসভা একাদশের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন সাবেক ফুটবলার ও জাতীয় ক্রীড়া সংগঠক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। এ খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। এছাড়া সাংবাদিকদের জন্য আয়েজিত রশি টানা-টানি প্রতিযোগিতায় ২-১ সেটে জয়লাভ করে সবুজ দল।

একই সময়ে অথাৎ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খাতুন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মুক্ত মঞ্চে সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের  লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা ও সিম্পোজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে শ্রীমন্ত টাউন হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিকে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোত্তালিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.এম ওবায়দুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রফেসর হারুন-অর রশীদ, আলিম উদ্দীন লস্কর প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফিন্যান্স ডিরেক্টর প্রফেসর আব্দুল মজিদ। চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসামাঠে অনুষ্ঠিত হয় মহান বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ এবং বাদ যোহর রেলবাজার ওয়াইসি জামে মসজিদে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহবুব, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। পরপরই পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার রাশিদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছালেহ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক, মহিলা লীগের সভানেত্রী কোহিনুর বেগম, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, সদর উপজেলা কমান্ডার আব্দুল হালিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি মাস্টার, বাবলুর রহমান, ফজলুর রহমান, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবীরুল হাসান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমান, আসলাম উদ্দীন, উপজেলা প্রশাসনরে পক্ষে উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুর হকসহ কর্মকর্তাগণ, আনসার ভিডিপি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-৬ এ চলতি দায়িত্ব উপঅধিনায়ক ও অধিনায়ক সদন চাকমা, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা, পৌর মেয়র, পাইনক্লাব, মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জামান গ্রুপ, জিমনেসিয়াম, জেলা বিএনপি, জেলা বিএনপি একাংশ, জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে, লে. কর্নেল কামরুজ্জামানের পক্ষে, সরকারি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু, সাবেক সভাপতি ওবাইদুর চৌধুরী জিপু, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু, যুবক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শফি, ফিরোজ, মতি, লাল্টু, সহসভাপতি শরীফ, মেহেদী প্রমুখ। প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, পল্লি উন্নয়ন সংস্থা, আত্মবিশ্বাস, রিসো, সদর উপজেলা লোকমোর্চা, জেলা মূল্য কমিশন, এডাব চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন, উদীচী, বঙ্গবন্ধু পরিষদ স্বাস্থ্যবিভাগ, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করেন। এছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক, মহিলা লীগের সভানেত্রী কোহিনুর বেগম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, ছাত্রলীগের সহসভাপতি জুবাইদ বিন আজাদ সুস্তি।

চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১২টায়  শিল্পকলা একাডেমীর উন্মুক্ত মঞ্চে  অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরার  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. রাশিদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও সুবেদার মেজর (অব.) সাইদুর রহমান বীর প্রতীক। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মালিক।

আলোচনাসভায় তিনজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার ১৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনাসহ নগদ অর্থ ও ১টি শাড়ি  প্রদান করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি একাংশের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সদর উপজেলা ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক অ্যাড. এম এম শাহাজাহান মুকুল, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হালিম হিরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম বকুল, যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, দফতর সম্পাদক আবু আলা সামসুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেদায়েত হোসেন আসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, পৌর ১৮ দলীয় জোটের যুগ্মআহ্বায়ক জামায়াত নেতা মফিজুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ মোল্লা, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লা ছটি, পৌর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাওলানা আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, তানভির আহমেদ রাজিব, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, জেলা তরুণদলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার প্রমুখ।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা আইডিয়াল ম্যাটস, নিউ আইডিয়াল মেডিকেল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড টেকনোলজী চুয়াডাঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা আইডিয়াল কৃষি, মৎস্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ও দি এডুকেশন রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাষ্টের উদ্যোগে বিজয় ৱ্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আলী ইকবাল জোয়ার্দ্দার, প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাহী পরিচালক আলিম উদ্দিন লস্কর, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস মিনহাজ মাহমুদসহ প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রছাত্রী অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মুক্তমঞ্চে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভা প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি সার্বজনীন ব্যবহার। আলোচনাসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহাবুবের (সার্বিক) সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা কবীরুল হাসান, বীরপ্রতীক অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর খন্দকার সাইদুর রহমান। পরে জেলা প্রশাসনের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার দিগড়ী হেলিপ্যাড মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দিগড়ী ছাত্রসমাজ আয়োজিত সকাল থেকে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দিগড়ীসহ আশপাশ কয়েকটি গ্রামের ক্রীড়া প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেল ৫টার দিকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আব্দুর রহমান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. সোহরাব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ওবাইদুর রহমান জিপু, জাতীয় পার্টির পৌর আহ্বায়ক দেলোয়ার উদ্দীন দুলু, পৌর সদস্য সচিব জাহিদুল হাসান জোয়ার্দ্দার।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ে সকাল ১১টায় আলোচনাসভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার কাকলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সেলিনা পারভীন, মিলি, রাফিয়া, সাহিদা, মুক্তি, শেফালী প্রমুখ। পুরিচালনা করেন খাইরুল কবির।

গতকাল জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা কোর্টমোড়স্থ ১ নং পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন স্থানে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল। বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সদস্য ওহিদুল ইসলা ওহিদ, জেলা কৃষকদল সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী, পৌর বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, আলমডাঙ্গা থানা মৎস্যজীবীদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাবু, আলমডাঙ্গা থানা তৃণমূল দলের আহ্বায়ক প্রিন্স, শহীদ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আফতাব উদ্দীন পিন্টু, রায়হান উদ্দীন প্রমুখ।

অপরদিকে ডাউকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিজয় ৱ্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক ওয়াজেদ আলী, বিদ্যালয় সভাপতি লেন্টু মাস্টার, শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, সালমা, মুসলিমা, আনিছ, সেলিম প্রমুখ। অন্যদিকে হাউসপুর অটোস্টার্টার শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে সমস্ত অটো নিয়ে বিজয় ৱ্যালিসহ এলাকা প্রদক্ষিণ করা হয়।

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উপজেলা পরিষদ চত্বরে। সেখানে সকাল ৯টায় বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ডাক্তার সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু,  উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। পরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন। প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে দিবসটি উপলক্ষে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিকেলে পৌরসভার আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামান।

অন্যদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি (দুদু গ্রুপ) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে দলীয় অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী শাহ্। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবুল কাশেম।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার মণ্ডল ও মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। পরে স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মুজিবনগর থানার পক্ষে ওসি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে কমান্ডার আব্দুল জলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি জিয়া উদ্দীন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের পক্ষে সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁদু, উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষে সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে রাজিব আহম্মেদ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।

অপরদিকে মেহেরপুরের বল্লভপুর চার্চ অব বাংলাদেশ বল্লভপুর ডীনারীতে প্রাক-বড়দিন ও বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বল্লভপুর চার্চ চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাইট রেভা এসএস মানখিন। সভাপতিত্ব করেন   বল্লভপুর চার্চ অব বাংলাদেশের পুরোহিত রেভা. বিলিয়ম সর্দ্দার।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, গতকাল ১৬ ডিসেম্বর ৪২তম মহান বিজয় দিবস দর্শনা ও আশপাশ এলাকায় যথাযথ মর্যাদার সাথে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয়, দলীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, র‌্যালিসহ পালন করেছে বিভিন্ন কর্মসূচি। রাত ১২টায় দর্শনা পুরাতন বাজার এলাকায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে তোপধ্বনি করা হয়। দিবসটির শুরুতে সকাল সাড়ে ৬টায় দর্শনা পৌর আ.লীগের কার্যালয়, কেরুজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেরুজ ক্লাব মাঠ চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা, দলীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। সকাল ৯টার দিকে দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার, রেলবাজার দোকান মালিক সমিতি, পৌরসভা ও প্রেসক্লাব দর্শনার আয়োজনে এমপি আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠ থেকে বের করা হয় র‌্যালি। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেরুজ স্মৃতিস্তম্ভে সমবেত হয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। সেখানে এমপি আলী আজগার টগর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। আ.লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফের উপস্থাপনায় শপথ বাক্য পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অ্যাড শহিদুল ইসলাম। র‌্যালিতে অংশ নেয়, আ.লীগ, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, জাতীয় পাটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা পৌর কমান্ড, দর্শনা সরকারি কলেজ, প্রেসক্লাব দর্শনা, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, অঙ্কুর আদর্শ বিদ্যালয়, দক্ষিণচাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, অনির্বাণ থিয়েটার, চিরন্তন, গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার, দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতি, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।

এদিকে কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নসহ সকল শ্রমিক সংগঠন দু ভাগে বিভক্তি হয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে। কেরুজ ক্লাব মাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও মুক্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিকেলে কেরুজবাজার মাঠে বিশ্ব বাঙালির একযোগে জাতীয় সঙ্গীতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। দর্শনা পৌর আ.লীগের উদ্যোগে বিকেলে পৌর আ.লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সবগুলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমপি হাজি আলী আগজার টগর, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আজিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা সৈয়দ মজনুর রহমান, আ.লীগ নেতা হাজি জয়নাল আবেদীন, নজরুল ইসলাম, শফিকুল আলম, আ. রকিব কাবি, গোলাম ফারুক আরিফ, মোমিনুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, আলী মুনসুর বাবু, জাসদ নেতা জাহাঙ্গীর আলম লুল্লু, হাজি হারুন অর রশিদ, জাতীয় পার্টি নেতা নুরজামাল, কেরুজ শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদীন, হাফিজুল ইসলাম, তৈয়ব আলী, ফারুক আহম্মেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মাসুদুর রহমান মাসুদ, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, যুবলীগ নেতা আ. হান্নান ছোট, জয়নাল আবেদীন নফর, আজিজুর রহমান বাবু, ইকবাল হোসেন, সোলায়মান কবির, মামুন শাহ, ফয়সাল, হাফিজ মল্লিক, ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ববি, নাহিদ পারভেজ, আলামিন, মনির সরদার, আশরাফুল, লোমান, প্রমুখ।

(কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা বাবু খান সমর্থিত পক্ষ) দর্শনা পৌর বিএনপির আয়োজনে র‌্যালির নেতৃত্বে দেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, শ্রমিক দল নেতা সাবু তরফদার, হাবিবুর রহমান বুলেট, ইকবাল হোসেন, মোমিনুল ও হারুন অর রশিদ। এ ছাড়া দর্শনা পৌরসভা, রেল বাজার দোকান মালিক সমিতি, অনির্বাণ থিয়েটার ও প্রেসক্লাব দর্শনার যৌথ আয়োজনে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপি মহান বিজয় উৎসবের গতকাল ছিলো সমাপনী দিন। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান মালার মতো গতকালের অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিলো আলোচনাসভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও নাটক। উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ থিয়েটারের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকা, প্রেসক্লাব দর্শনার সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুল, কোষাধ্যক্ষ হানিফ মণ্ডল, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু প্রমুখ।

কুড়লগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কুড়ুলগাছিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। সকাল ৮টার দিকে কুড়ুলগাছি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জাগরণীচক্র ফাউন্ডেশন, কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্বপাড়া, পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নের সকল সরকারি-বেসরকারি  প্রতিষ্ঠান র‌্যালিতে অংশ নেয়।

জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে বিকেলে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামজামি ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি দিদার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হাসান কাদির গণু মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহসভাপতি বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু ও জামজামি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বাবলু চৌধুরী।

আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আমঝুপিতে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামূল ইসলাম, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম, মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক ও তৃনমূল মডেল একাডেমীর পক্ষে আশাদুজ্জামান সেলিম পৃথক র‌্যালি সহকারে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা ১ মিনিটে শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে পুলিশের একটি দল ৩১ বার তোপধ্বনি দেয়। পরে সরকারি কলেজ মোড়ের শহীদবেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন ও পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম। পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মতিউর রহমান বাচ্চু, পৌর সভার পক্ষে মেয়র আলহাজ মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, মেহেরপুর সরকারি কলেজের পক্ষে অধ্যক্ষ ড. প্রফেসর এবিএম রেজাউল করিম, মহিলা কলেজের পক্ষে অধ্যক্ষ ড. প্রফেসর শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আবদুস শহীদ, গণপূর্তের প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ, ফরহাদ হোসেন দোদুল, অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় তিনি মেহেরপুর পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, রোভার-স্কাউট, গার্লস গাইডসসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দেয়া প্যারেড পরিদর্শন ও কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম। পরে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. জয়নাল আবেদীন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এদিকে ‘জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক’ এ স্লোগানে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মেহেরপুর বিএনপি বিজয় র‌্যালি ও শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করে।

এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহামুদ হোসেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী জেলা প্রশাসক পত্নী ফারজানা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহসভানেত্রী এমপি পত্নী তহমিনা আবেদীন, পুলিশ সুপার পত্নী লাইলা নাজনীন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা।

৩ লাখেরও বেশি বাঙালি এক সময়ে একসাথে গাইলেন প্রাণের জাতীয় সঙ্গীত। বাংলাদেশের আরও একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে সমবেত মানুষ গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিজয় দিবস উদযাপন পরিষদ ডিঙ্গেদহ অঞ্চলের আয়োজনে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ডিঙ্গেদহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শঙ্করচন্দ্র  ইউপি চত্বরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কৃষকলীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান বিল্লাল, যুবলীগের আহ্বায়ক জিসিএ সভাপতি আমির হোসেন। শেষে উদীচী শিল্প গোষ্ঠীর আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন উদীচী জেলা শাখার আহ্বায়ক জহির রায়হান, গোলাম মোস্তফা, আব্দুস ছাত্তার প্রমুখ। এছাড়াও সকাল ৮টায় ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়, সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, ডিঙ্গেদহ দাখিল মাদরাসা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা, আওয়ামী পেশাজীবী সংসদ, পদ্মবিলা আওয়ামী লীগ, শঙ্করচন্দ্র আওয়ামী লীগ, জালসুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অপরদিকে সকাল সাড়ে ৭টায় সিডিএফ, জেলা কৃষি মূল্য কমিশন, পাস, প্রত্যাশা, আত্মবিশ্বাস, রিসো, এডাব ও উপজেলা লোকমোর্চার একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসান চত্বর সংলগ্ন শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। নেতৃত্বে ছিলেন সিডিএফ’র সেক্রেটারি ও প্রত্যাশার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, পাস’র নির্বাহী পরিচালক ও জেলা কৃষি মূল্য কমিশনের সচীব ইলিয়াস হোসেন, রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে তিতুদহ ইউনিয়নের গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিনব্যাপি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাইদার মল্লিক। এছাড়া সকাল ৮টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি গিরিশনগর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মুন্সিগঞ্জ/মোমিনপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর আলিয়াটনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করেছে। সকালে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের র‌্যলি ও খেলাধুলাসহ এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সভাপতি ছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব। প্রধান অতিথি ছিলেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম মণ্ডল। বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নান আলী, রবিউল হক, ছরোয়ার হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে দিবসটি যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে। সকালে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি ও খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লা, সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুল হক বুলবুল, আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান লাড্ডু, আব্দুল হান্নান, সালাউদ্দিন, সাহিদুল, খলিল, আহসান হাবীব বাবু, তানসেন আহম্মেদ টনি, সুমন মেম্বার, হাসেম মেম্বার, অশোক কুমারসহ আরো অনেকে। মুন্সিগঞ্জের ড্যাফোডিল কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড প্রিক্যাডেট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যান্ডের তালে তালে বিজয় মিছিল বের করে। এতে নেতৃত্ব দেন স্কুলের অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ হাসান।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়াজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছিমা খাতুন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদিউজ্জামান, মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন ও মহেশপুর প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুর রহমান। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম, পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আব্দুস সাত্তার ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম ঝড়ু।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন,  আলমডাঙ্গার আইন্দিপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আব্দুল আল সাইফ ক্লাবের আয়োজনে আব্দুর রহিম খোকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সৌদিপ্রবাসী আব্দুল মমিন স্বপন। অতিথি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, রমজান বিশ্বাস ও আতিয়ার রহমান। বক্তব্য রাখেন আব্দুল আলিম, আব্দুল লতিফ, মোমিন, জিকানুর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা উপলক্ষে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।    এদিকে আলমডাঙ্গার চিৎলা, খাদিমপুর ও গাংনী ইউনিয়নের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়।

বদরগঞ্জ ব্যরো জানিয়েছে, কুতুবপুর ইউনিয়নের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দিবসটি যথাযথভাবে মর্যাদার সাথে পালন করেছে। সকাল ৬টার দিকে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করাসহ বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বদরগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মোতালেব, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহামেদ, সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ। মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হেড মুহাদ্দিস মুহা, লুৎফুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মুহা. নুরুল আলম সিদ্দিকী ও প্রভাষক আবুল কাসেম               অপরদিকে ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মহাসিন আলী, প্রধান শিক্ষক আহমেদ আলী, সহকারী শিক্ষক আব্দুল সামাদ ও সদস্য ইসমাইল হোসেন। বদরগঞ্জ দশমী মহিলা দাখিল মাদরাসার পক্ষ থেকে দিবসটি পালন করা হয়। এছাড়া কুতুবপুর ইউনিয়নের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। তিতুহদ ইউনিয়নের খাড়াগোদা, তিতুদহ, সড়াবাড়িয়া, আড়িয়াদাখিল মাদরাসা, বেগমপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ি, কোটালী ও বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি পালিত হয়। হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনার কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক মাসুম, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন প্রমুখ। অপরদিকে কুকিয়াচাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক হানিফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন শিক্ষক আলীম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আয়ুব আলী, ফিরোজ, কাশেম প্রমুখ।

বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর সদরের মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৮টায় বিজয় র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন আশরাফুজ্জামান বাবলু। প্রধান অতিধি ছিলেন মাহাবুব উল আলম শান্তি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আতিয়ার, মমতাজ মাস্টার, নাজিম মিয়া প্রমুখ। অপরদিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শামীম ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি ছিলেন আব্দুস সাত্তার, সাহার আলী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এছাড়াও দিবসটি পালন করেছে বর্শিবাড়িয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যাদুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পিরোজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে সরোজগঞ্জ তেঁতুলশেখ কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লা শেখ, আজিজুল হক, অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। পরিচালনা করেন শিক্ষক জহুর রায়হান। সরোজগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিটের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিটের সভাপতি ইলিয়াচ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়াসহ ইউনিটের সকল সদস্যবৃন্দ। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালির আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুতাহের বিশ্বাস, প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লা শেখ, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন মহরসহ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়া সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসা ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করেছে।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ঝিনাইদহে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। ভোর ৬টায় সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, ইলেকট্রনিক মিডিয়া রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, গণজাগরণ মঞ্চ, সচেতন নাগরিক কমিটি, টিআইবি, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।

এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় ঝিনাইদহ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রর্দশন করে। জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। শিশু একাডেমীতে শিশু কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

ভ্রাম্যমা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বাস কিন্ডারগার্টেন, অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন, ইসলামী প্রিক্যাডেট, কার্পাসডাঙ্গা, কোমরপুর, বাঘাডাঙ্গা, কার্পাসডাঙ্গা মিশন, আরামডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, কুতুবপুর, সদাবরী, কানাইডাঙ্গা, নাটুদা, তালসারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় আলোচনাসভা ও র‌্যালি বের করে। অপরদিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগ ও বিএনপি নিজ নিজ দলীয় কার্যালয়ে সকালে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনীতে দিবসটি পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন পালন করেছে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি। সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬টা ১ মিনিটে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। ৬টা ১৫ মিনিটে শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পামাল্য অর্পণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মমতাজ কাকলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম।

এদিকে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ মনোনীতপ্রার্থী এমএ খালেকের নেতৃত্বে থানা সড়ক মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পৌর এলাকার কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।

সকাল ৭টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের শুরু করে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপি। জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জাতীয় পতাকা ও পৌর বিএনপির সভাপতি ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইনসারুল হক ইন্সু দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪২তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সকাল ৮টায় নাটুদা আট কবরে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান, দামুড়হুদা প্রশাসনের পক্ষে ওসি আহসান হাবিব, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কমান্ডার আছির উদ্দিন, জগন্নাথপুর সবুজ সংঘের পক্ষ থেকে আট শহীদের বেদিতে  পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় উপজেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে প্যারেড কমান্ডার এসআই ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ছালাম গ্রহণ ও কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান ও মডেল থানার ওসি আহসান হাবিব। আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ, রোভার স্কাউসসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কুঁচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করে।

বেলা ১২টার দিকে উপজেলা অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. রফিকুল আলম রান্টু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আকবর লাইলী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ। পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা প.প. কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। বিকেলে স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল ও সন্ধ্যায় অডিটোরিয়াম হলরুমে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসের দিনব্যাপি কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছেন, জীবননগরে ৪২তম মহান বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজামউদ্দিনের নেতৃত্বে রাত ১২টা ১ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় জীবননগর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তূজা, ইউএনও সাজেদুর রহমান ও ওসি শিকদার মশিউর রহমান কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেণ। বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আকলিমা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আশরাফুল মডেল একাডেমী, হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দৌলতগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জীবননগর বেসরকারি রেজি. প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাপলাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রোভার স্কাউটস, ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জীবননগর আলিম মাদরাসা, পৌর কিন্ডার গার্টেন, ক্রিসেন্ট ইংলিশ স্কুল, প্রভাতী ল্যাবরেটরি স্কুল ও জীবননগর বেসরকারি রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয় কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। পরে উপজেলা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা শরীর চর্চ্চা প্রদর্শণ ও ডিসপ্লে করে। সকাল ১০টায় মাধবখালীর নোম্যান্স ল্যান্ডে শায়িত ৬ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ,সূধী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবর্গ ও সর্বস্তরের মানুষ এ সময় শহীদদের কবরে উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টায় উপজেলা হলরুমে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয়। সাড়ে ১১টায় উপজেলা মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী প্রদাণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। দুপুরে জাতীর শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। এ সময় হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেলে স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিক্স ও প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা পরিষদ এবং ক্রীড়া সংস্থার নিয়মিত খেলোয়াড়েরা প্রীতি এ ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যায় উপজেলা হলরুমে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ইউএনও সাজেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তূজা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীরা সঙ্গীত সন্ধ্যায় অংশগ্রহণ করেন। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ ভবন ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। হাসাদাহ শিশুকুঞ্জু মডেল একাডেমী ও গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে র‌্যালি, আলোচনাসভা ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তূজা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিয়া ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুর রহমান, উপজেলা মহিলী লীগের সভানেত্রী আয়েশা সুলতানা লাকি, সাধারণ সম্পাদক রিজিয়া খাতুন, যুবলীগ আহ্বায়ক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, যুগ্মআহাবায়ক আ. সালাম ইশা, উপজেলা ছাত্রলী সভাপতি সোয়েব আহম্মেদ অঞ্জন, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম রাজা, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাদারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন খাঁন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেনুকা আক্তার রিতা, রাবেয়া খাতুন, নিলুফা ইয়াসমিন রানী প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম মাও. আব্দুল জলিল মিলাদ-মাহফিল ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।