ফিরে দেখা ২০১৩ : এক বছরে ২৪ খুন : ১৩টি হত্যাকাণ্ড পারিবারিক ফিরে দেখা : ৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত ৬০

ফিরে দেখা ২০১৩ :

এক বছরে ২৪ খুন : ১৩টি হত্যাকাণ্ড পারিবারিক

স্টাফ রিপোর্টার: পূর্বের বছরের তুলনায় বিদায়ী বছরে চুয়াডাঙ্গায় খুনের সংখ্যা ছিলো কিছুটা কম। গত এক বছরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় হত্যার শিকার হয়েছে ২৪ জন। এর মধ্যে দুজনের প্রাণ ঝরে গণপিটুনিতে। স্বামীর নির্যাতনে তথা পরিবারিক হত্যাকাণ্ড ছিলো ৫টি।

২২ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ির আশকার আলী গলিত লাশ উদ্ধার করা হয় জেলা সদরের ভাণ্ডারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালমর্গে পাঠায়। ৩ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গার পল্লি রায়সার রেজাউল গাইন তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি খাসকররায় গিয়ে লাশ হন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী কাজলীর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে যাওয়ার পর রাতেই গাছে ঝুলানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার কাথুলী-বলেশ্বরপুর সড়কের মধ্যবর্তী স্থান থেকে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় আলমডাঙ্গার তিয়ারবিলার আমিরুল ও হাকিমপুরের তরিকুলের লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। ডাকাত সন্দেহে কয়েকজনকে ধাওয়া করে ধরা পড়ার পর গণপিটুনিতে ওই দুজন মারা যায় বলে পুলিশ জানায়। ২০ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার হাসান আলীকে হাত পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে জুতোর ফিতে ও বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ি-কুলচারার মধ্যবর্তী মাঠের নবগঙ্গা খালের ধারের রাস্তায় হত্যা করা হয়। ১ মার্চ দামুড়হুদার উজিরপুরে ওয়াজ মাহফিল চলাকালে ভুজালির উপর্যুপরি আঘাতে কলেজছাত্র ইব্রাহিম খুন হয়। উজিরপুর মোল্লাপাড়ার সাইদার রহমানের ছেলে ইব্রাহিম গ্রামেই কাসেমুল উলুম কওমিয়া মাদরাসায় ওয়াজ শুনতে যায়। সেখানে গিয়ে এক ছাত্র খুন হয়। তাকে ও তার সাথে থাকা একই গ্রামের একইপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে স্কুলছাত্র সোহেলকেও উপর্যুপরি ভুজালির আঘাতে গুরুতর জখম করা হয়। ৮ মার্চ ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর নারায়ণকান্দি গ্রামের কৃষক কলম আলীকে সন্ত্রাসীচক্র নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করে। ধাপগাড়ি মাঠের গমক্ষেতে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে মাঠের কৃষকেরা হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশে খবর দেয়। দু জেলার সীমান্তে এনে খুন করে এ লাশ ফেলে রাখায় রশি টানাটানির মাঝে পড়ে আলমডাঙ্গা ও হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ। অবশেষে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ উদ্ধার করে এ লাশ। ১৮ মার্চ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগের কনক আহমদ টুটুলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও বাটামপেটা করে হত্যা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজমোড়ে এ ঘটনা ঘটে। টুটুল চুয়াডাঙ্গা পোস্টঅফিস পাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। ২৫ মার্চ আলমডাঙ্গা ডাউকির বিনোদপুর গ্রামের দরিদ্র ঘরের স্বামী পরিত্যক্তা দিনমজুর মেয়ে আর্জিনা খাতুন শিল্পীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। গ্রাম সংলগ্ন জি.কে সেচখালের অদূরবর্তী ভিটের মাঠের ভাঙা পানবরজের খুঁটিতে বেঁধে রাখা তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। ৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার মর্তুজাপুর মাঠে চাচাতো ভাই হিল্লালের কোদালের আঘাতে বিল্লাল প্রাণ হারায়। মর্তুজাপুর গ্রামসংলগ্ন গনের গুড়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ২৯ মে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরু চুরি করে ট্রাকযোগে সটকানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে গরুচোর বাবু নিহত হয়। জনতার ধাওয়ার মুখে কার্পাসডাঙ্গা-দামুড়হুদা সড়কের নাপিতখালী নামকস্থানে ট্রাকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ৪ জন। পালিয়ে যায় তাদের কয়েক সহযোগী। গণপিটুনিতে নিহত হয় বাবু চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের বৈদ্যনাথপুরের চিহ্নিত গরুচোর। ৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা ঝোড়াঘাটা গ্রামে গরু চুরি করে পালানোর সময় দু চোর গনপিটুনিতে নিহত হয়। নিহত দু চোর দামুড়হুদা খাঁপাড়ার হানু ও মেহেরপুর গাংনী গাড়াবাড়িয়ার মিরা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ৮ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা শহরের আরামপাড়ায় মিলন নামের এক যুবককে জবাই করে খুন করে দুর্বৃত্তরা। নিহত মিলন চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ার শরীফ মণ্ডলের ছেলে। সদর থানা পলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। অপরদিকে এদিনে জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয় আব্দুল আজিজ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায়। আজিজ ঝিনাইদহের মহেশপুর ঘুগরী গ্রামের মৃত উজ্জ্বত আলীর ছেলে। ১৩ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে কুতুবপুর মাঠে পাশ্ববর্তী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সাহেব আলী রাসেলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করে সন্ত্রাসীরা। সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাসেল ছিলো চরমপন্থি দলের সদস্য। ১৫ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ির বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহাবুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে খুন করে দুর্বৃত্তরা। রামনগর-কলাবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অদূরবর্তী গোপালপুর গ্রাম সংলগ্ন আটলাচর মাঠের রাস্তার পাশ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ২৬ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা দর্শনা আকন্দবাড়িয়ায় শরিকি জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচার লাঠির আঘাতে ভাতিজা লিপু মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালমর্গে পাঠায়। ৪ নভেম্বর দামুড়হুদা উজিরপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীদের লাঠির আঘাতে পচা বিশ্বাস মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়। ১৬ নভেম্বর দামুড়হুদা পীরপুরকুল্লা গ্রামের বৃদ্ধ সার্থক মণ্ডলকে এক থাপ্পড় মেরে হত্যা করে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম। জমির ধান কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহিদুল সার্থককে থাপ্পড় মারলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ১৭ নভেম্বর জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হেঁসোর কোপে শরীফ উদ্দিন খুন হয়। কয়া গ্রামের স্কুলমাঠে এ ঘটনা ঘটে। শরীফ উদ্দিন গ্রামেরই আব্দুল লতিফের ছেলে। ১ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা বণ্ডবিলের একটি আমবাগাম থেকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের নান্টুর স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ জানায় ধর্ষণ শেষে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। ৮ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গার পারলক্ষ্মীপুর গ্রামে নেশাখোর পিতা তার শিশু সন্তান নয়নকে নেশার টাকা না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে চৌকির সাথে আছড়ে হত্যা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। ৯ ডিসেম্বর দামুড়হুদা দলকা বিলপাড় থেকে পোতারপাড়া গ্রামের শামসুল মালিতার ছেলে মিনারুল ইসলাম মালিতা ও আলমডাঙ্গার শিবপুর গ্রামের শাকের আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা দুজনই চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলো। পুলিশের ধারণা দলীয় কোন্দলের কারণে প্রতিপক্ষ খুন করে থাকতে পারে। ১৪ ডিসেম্বর দামুড়হুদা দর্শনার মদনায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাই-ভাতিজার হাতে খুন হয় শামসুদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম। ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়।

 

ফিরে দেখা : ৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত ৬০

স্টাফ রিপোর্টার: ১ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়ায় বাস চাপায় আলুকদিয়ার কাবা মণ্ডলের ছেলে সাব্বিরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৪ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের কুলপাপলা নামক স্থানে চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার মাহফুজুর রহমান ঠাণ্ডু স্ত্রী শিলা খাতুন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়। ১২ জানুয়ারি দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা-মুন্সিপাড়া সড়কে করিমন দুর্ঘটনায় গ্রামেরই আবুল হোসেনের ছেলে ইমরানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২০ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদরে বেগমপুরের ট্রাক্টরের চাকা পিষ্ট হয়ে ছোটশলুয়া গ্রামের আলী মণ্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ মারা যান। ২৩ জানুয়ারি করিমনের ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে রাব্বির মর্মান্তিক মৃত্যু। ২৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের হায়দারপুর তালবাগান নামক স্থানে বাসে ধাক্কায় চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে ফারুক হোসেন নিহত হন। ২ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গা বণ্ডবিল তেলাপাম্পের নিকট ট্রাকের ধাক্কায় দু আলমসাসাধু যাত্রী মারা যায়। তারা হলেন- হারদী গ্রামের অবনি সাহার ছেলে অপূর্ভ সাহা ও বণ্ডবিল গ্রামের বরকত মণ্ডলের মেয়ে তারা খাতুন। এ দিনে অপর এক দূর্ঘটনায় মেহেরপুর গাংনীর শানঘাট গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মহাবুল ইসলাম মারা যায়। তিনি ভালাইপুর-হাটবোয়ালিয়া সড়কের কয়রাডাঙ্গা পাউয়াটিলার দুর্ঘটনায় মারা যান। ৭ ফেব্রুয়ারি দামুড়হুদা কুড়ুলগাছি গ্রামের আলমসাধুর ধাক্কায় কুতুব আলীর শিশু সন্তান ফাতুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। করিমন দুর্ঘটনায় নাপিতখালী গ্রামের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী সামেনা বেগম মারা যায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যাণ্ডবিপাড়ার অদূরে মোটরসাইকেল-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়াডাঙ্গা হকপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও আলমডাঙ্গা কুমারি ইউনিয়নের এলাহিনগরের লিয়াকত আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম। ১৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের গোপীনগরে বাস দুর্ঘটনায় রূপচান মণ্ডলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম মারা যায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি দর্শনা বাসস্ট্যাণ্ডে বাসের ধাক্কায় কেরুজ আমতলাপাড়া সুরেশ বাশফোকের ছেলে পিয়াসের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ১ মার্চ দামুড়হুদা-কাপাসডাঙ্গা সড়কের মোক্তারপুর মোড়ে ট্যাঙ্কলরির ধাক্কায় কুনিয়া গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে মুক্তি খাতুনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে গাড়াবাড়িয়া গ্রামের লাটাহাম্বারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত কাশেম আলীর ছেলে মুকুল হোসেন মারা যান। ১০ মার্চ চট্টগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে চুয়াডাঙ্গা বনানীপাড়ার আনারুল ইসলামের ছেলে নুর আলম রানা মারা যায়। ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দর্শনা আকন্দবাড়ি তালতলা নামক স্থানে লাটাহাম্বারের ধাক্কায় দামুড়হুদা দশমীপাড়ার কাঞ্চন মিয়া মারা যায়। ২২ মার্চ আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া-ভালাইপুর সড়কের ভাংবাড়িয়া নামকস্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অহিদুল ইসলামের মেয়ে নুসরাত জাহান তানিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে জীবননগর আধুনিক সিনেমা হলের সামনে বাস চাপা সীমান্ত ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে সোহরব মারা যায়। ২৮ মার্চ জীবননগরে করিমন দুর্ঘটনায় মুক্তার নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২৯ মার্চ জীবননগর কয়া গ্রামে পাউয়ারটিলার দুর্ঘটনায় ইছা হক মারা যায়। ৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদরে সরোজগঞ্জ-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের গহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তারা হলো- মরজত আলীর ছেলে তারিক আজিজ ও একই গ্রামের হাসেম আলীর মেয়ে রুবিনা আক্তার শিলা। একই দিনে চুয়াডাঙ্গা পিটিআই মোড়ে দুর্ঘটনায় সরিষাডাঙ্গার বৃদ্ধা ঠাণ্ডু মারা যান। ১৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের রোয়াকুলি নামক স্থানে বাস চাপায় কেশবপুর গ্রামের ফিরোজ নামের এক যুবক মারা যায়। ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ছোট শলুয়ায় আলমসাধু ধাক্কায় আলাউদ্দিনের ছেলে মনিরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের জয়রাপুরে মোটরসাইকেল-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তারিনীপুর গ্রামের আব্দরি রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন ইসরার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৫ মে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের দামুড়হুদা ব্র্যাক মোড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেগোয়াপাড়ার আব্দু রহিমের ছেলে কামাল মারা যায়। ৯ মে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে ডিঙ্গেদাহে করিমন থেকে পড়ে নূরনগর কলোনির বাহার আলীর স্ত্রী নছিরন মারা যায়। ১০ মে কুষ্টিয়া বৃত্তিপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দর্শনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুল ইসলাম রিন্টু মারা যায়। ১১ মে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে দর্শনা ফিলিংস্টেশনের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ১৩ মে জীবননগর-কালীগঞ্জ সড়কের বাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটসাইকেল চালক ও আরহী পিতা-পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তারা হলেন- বাকা গ্রামের পিতা নুর ইসলাম ও ছেলে ফয়সাল। ২০ মে আলমডাঙ্গা জাহাপুরে আলমসাধুর ধাক্কায় মুন্সি ময়জুদ্দীনের ছেলে আব্দুস সাত্তার মুন্সি মারা যায়। যশোর নওয়াপাড়ায় দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়াডাঙ্গা বেলাগাছি মুসলিমপাড়ার চালক মিজানুর ও সুমিরদিয়ার হেলপার আব্দুল্লা নিহত হয়। ২ জুন চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড়ে ট্রাকের চাকা বাষ্ট হয়ে বাতাসের ধাক্কায় দৌলতদিয়াড় মাঝের পাড়ার কাতর আলীর ছেলে খবির ড্রাইভারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

এদিনে দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের রুদ্রনগরে ট্রাক্টোরের ধাক্কায় আরামডাঙ্গার আব্দুল কাদেরের ছেলে সাইদুল মারা যায়। ৩০ জুন টাঙ্গাইলের পূর্বপাড়া নামকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দামুড়হুদা তারিনীপুর গ্রামের ট্রাকহেলপার শামিম মারা যায়। ৫ জুলাই চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ নবীননগরে বাস চাপায় করিমনচালক ঝিনাইদহের সাগান্না গ্রামের আব্দুল কমিরের ছেলে মিঠু মারা যায়। ৮ জুলাই জীবননগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সামনে করিমনের ধাক্কায় নারায়নপুরে আমিন মারা যায়। ৯ জুলাই দর্শনা পুরাতন বাজার পাড়ার আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মমতাজ বেগম মেয়ে বাড়ি নাস্তিপুর থেকে করিমনযোগে ফেরার পথে ছয়ঘরিয়ায় করিমনের চাকায় শাড়ি পেচিয়ে ছিটকে পড়ে আহত হন। হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। ২৪ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নির্মাধীন ভবনে কাজে যোগ দেয়ার পর ট্রাকের চাকা বাস্ট হয়ে ঝিনাইদহের নরহরদিয়া গ্রামের সুরত আলীর ছেলে উজ্জল হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২৫ জুলাই চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ায় আইনাল পরাপমাণিকের ছেলে জিল্লুর রহমান বাবু মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মারা যায়। ২ আগষ্ট দামুড়হুদা নাপিতখালী গ্রামের পাউয়ারটিলারে চাকায় পিস্ট হয়ে মিজানুর রহমানের ছেলে হাবিবুল্লা মারা যায়। ১৭ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের জয়রামপুরে বাসের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রামনগর-কলাবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ডিঙ্গেদহ শ্রীকোলের সোলায়মান হক ও গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলতদিয়াড়ের মাহফুজুর রহমান মাফুজের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ১৯ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের মুন্সিগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আঠারখাদা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মারা যান। ৩১ আগস্ট দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের কুড়ুলগাছিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুর ইসলামের ছেলে সোহেল মারা যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা বড় শলুয়ায় ট্রাক্টোরের চাকায় পিস্ট হয়ে আব্দুল মালেকের শিশু সন্তান জীবনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২১ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ বাজারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সুবদিয়া গ্রামের কাশেম আলী নামেক এক কৃষক মারা যায়। এ দিনে আলমডাঙ্গার জাহাপুর গ্রামের করিমন থেকে ছিটকে পড়ে রুস্তম আলী মেয়ে রিয়া খাতুনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ৩ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের জয়রামপুর মোজার পুকুর নামক স্থানে মোটরসাইকেলে ধাক্কায় ভাদিরন নামের এক বৃদ্ধা মারা যায়। ১৪ অক্টোবর সরোজগঞ্জ-খাসকররা সড়কের আসান্দপুর মোড়ে আলমসাধু থেকে ছিটকে পড়ে খাসকররা নিচিন্দিপুর গ্রামের হাবিল মল্লিক মারা যায়। ১৭ অক্টোবর দর্শনা-জীবননগর সড়কের আকন্দবাড়িয়ায় করিমন থেকে ছিটকে পড়ে বাসে চাকায় পিস্ট হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের শ্রীকোল গ্রামের আইজেল আলীর  স্ত্রী আবেদা খাতুন মারা যায়। ২০ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের লোকনাথপুরে ট্রাক্টরে ধাক্কায় আব্দুল করিমের ছেলে কিবরিয়া মারা যায়। ২৪ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুর মোড়ের অদূরে লাটাহাম্বার উল্টে গরু ব্যবসায়ী কুষ্টিয়া দৌলতপুর মাঝদিয়ার মৃত ইমরান সরদারের ছেলে যাদু সরদার মারা যায়। অপর দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের ডিঙ্গেদহ হাইওয়ে ফিলিংস্টেশনের অদূরে দুটি মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে বেগমপুর গ্রামের দুখু মণ্ডের ছেলে সুমন মারা যায়। ৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের দামুড়হুদায় ট্রাক্টরের ফলার ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক ফয়সালের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ফয়সাল চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ওমর আলীর ছেলে। ১৩ নভেম্বর জীবননগরে পাউয়ারিটিলার-মোটরসাইকেলের মুখোমুখ সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক শিমুল মারা যায়। সে মহেশপুরের কানাইডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। ১৮ ডিসেম্বর দর্শনা-জীবননগর সড়কের আকন্দবাড়িয়ায় ট্রাকের ধক্কায় করিমনচালক বাকা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জনি মারা যায়। ১৯ ডিসেম্বর দামুড়হুদার কুড়ুলগাছির ধান্যঘরা গ্রামের করিমনের ধাক্কায় আতিয়ারের ছেলে রমজান আলী মারা যায়। ১৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের ভেমরুল্লায় করিমনের ধাক্কায় শিশু শিহাবের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২৪ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের উজিরপুরে থ্রিহুইলারের ধাক্কায় দামুড়হুদা স্কুলপাড়ার মৃত ফকির চাদের স্ত্রী খাইরুন নেছা মারা যায়। ১৫ ডিসেম্বর দামুড়হুদা হোগলডাঙ্গায় মোটরসাইকেলে ধাক্কায় আবু বক্করের ছেলে এনামুলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এদিনে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজের অদূরে লাটাহাম্বার দুর্ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী কুষ্টিয়া বৃত্তিপাড়ার মজনু রহমান মারা যায়। সর্বশেষ গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা বড় গাংনী মৃত মাহতাব আলীর ছেলে মন্টু মিয়া গাংনী মোড়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হন।