তালাবন্ধ, দূরত্ব রাখা, ঘরে থাকা কোন নির্দেশনাই মানছে না আলমডাঙ্গার গ্রামবাসি

শরিফুল ইসলাম (আলমডাঙ্গা) : করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আলমডাঙ্গায় গেল ১০দিন যাবত তালাবন্ধ চলছে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। ঔষধ ও জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দোকান ব্যতিত বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রায় সকল প্রকার দোকানপাট। বন্ধ সাপ্তাহিক হাটবাজার। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে শারিরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। গৃহবন্দি কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের জন্য সরকারিভাবে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

আলমডাঙ্গা শহর ব্যতিত গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে কিছুতেই লকডাউন এমনকি শারিরিক দূরত্বও মানছেন না কেউ। গ্রামীণ সড়ক কিংবা আন্তঃজেলা সড়কে অনেক দেদারচ্ছে চলছে ব্যাটারীচালিত অটো ও পাখিভ্যান। আলমডাঙ্গা তহ বাজার, মুন্সিগঞ্জ পান হাট, হাটবোয়ালিয়া বাজার,আ সমানখালী বাজার, ভাংবাড়িয়া বাজার, জামজামি ও ঘোলদাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের প্রশাসনিক নির্দেশনা মানা হচ্ছে না বললেই চলে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে ছোট ছোট এসকল বাজারের চায়ের দোকান খোলা । এ চায়ের দোকানগুলোতে অতি কাছাকাছি অবস্থান করে অনেককেই গল্প করতে দেখা গেছে। অনেক কিশোর ও উঠতি বয়সি তরুণ এক সাথে মোবাইল নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।

কেন সামাজিক দূরত্ব মানছেন না? এ প্রশ্নের জবাব চেয়ে কথা হলো সাইফুল ইসলাম নামে এক কিশোরের সাথে । তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামে করোনা ভাইরাস আসেনি।  কোন সমস্যা হবে না।’ বিভিন্ন গ্রামের দোকানে বসে অনেককে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। কেন লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে সকলে আড্ডা দিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ‘ সবকিছু জেনেই বাইরে বের হয়েছি ‘  মন্তব্য  ইব্রাহিম নামে এক ভ্যানচালকের । তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে ইসমাইল হোসেন নামের আরেক ভ্যানচালক বলেন,’ ভ্যান না চালালে স্ত্রী সন্তান নিয়ে উপোষ থাকতে হবে। সরকারি সহায়তা পাননি? এ প্রশ্নের জবাবে চা দোকানী হাসিবুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে এখনও দেয়নি। তবে দিলেই কী? সরকারি সহায়তা কোনদিন পাইনি।’ হাটবোয়ালিয়া ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এস আই বজলুর রশিদ বলেন, ‘উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই একজন পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করার কাজ করছে। কিন্তু কিছুতেই সচেতন করা যাচ্ছে না। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন এস আই’র নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক পৃথক টিম কাজ করছে। প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। তাছাড়া  তদারকিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার টিম মাঠে রয়েছে।

#ফাইজার(০৩-০৪-২০)