চুয়াডাঙ্গা বিএনপির দু পক্ষেরই পৃথক মিছিল : রাতে ককটেল বিস্ফোরণ : মেহেরপুর ছিলো উত্তপ্ত অবরোধ : বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কিছু কোচ ছাড়লেও পিছুছাড়েনি আতঙ্ক

স্টাফ রিপোর্টার: একতরফা নির্বাচনের তফশিল স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট টানা ৮৩ ঘণ্টার সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের দ্বিতীয় দিনে চুয়াডাঙ্গা অনেকটা শান্ত থাকলেও মেহেরপুর ছিলো উত্তপ্ত। বেশ কয়েকটি  ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জামায়াতের মিছিলকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ তীব্র রূপ না নিলেও পুলিশকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দু পক্ষ পৃথক স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঝিনাইদহে উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দূরপাল্লার এবং আভ্যন্তরীন রুটে বাস চলেনি। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ট্রাক চলাচল করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে শহীদ হাসান চত্বরে গতরাত ৮টার দিকে একটি ককেটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সদর থানার অদূরে বিকট শব্দে ককটেলটি বিস্ফোরিত হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অবশ্য বলেছে, ওটা বোমা বা ককটেল নয়, পটকা।

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ ট্রাকচালক মো. আহসান উল্যা রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে মারা গেছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা, তার বাবার নাম আহমেদ উল্যাহ। সারাদেশে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আটক করা হয়েছে আড়াইশ জনকে। তবে ১৮ দল দাবি করেছে, তাদের সাড়ে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেফতার, নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও বগুড়ার শাজাহানপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে। রাজধানীতে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ঘটেনি। সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের মাধ্যমে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন অবরোধকারী আহত হয় এবং গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে। রোববারও পুলিশি নিরাপত্তায় রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে কিছু দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়। তবে রাজধানীর বাইরে থেকে টার্মিনালে কোনো দূরপাল্লার বাস আসতে দেখা যায়নি।

যোগাযোগমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েকটি বিআরটিসির বাসও চলাচল করেছে। তবে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও আতঙ্কে বহু মালিক তাদের বাসগুলো টার্মিনালেই দাঁড় করিয়ে রাখেন। তারা বলেছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে গাড়ি চালাবেন না। মালিক-শ্রমিকরা জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে নামিদামি কোনো কোম্পানি বাস চালাচ্ছে না।

গতকাল রোববার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ৮৩ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে অবরোধের সমর্থনে চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন। বক্তব্য রাখেন সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, সদর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, সহসভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা যুবদল নেতা আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, আরিফুজ্জামান পিন্টু, শফিকুল ইসলাম পিটু, আতিয়ার রহমান লিটন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এমএ তালহা, যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, জেলা ওলামাদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন অধিকারী, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ কালু, শফিকুল কবির জুয়েল প্রমুখ।প্রেসবিজ্ঞপ্তি

এদিকে অবরোধের সমর্থনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে কোর্টমোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কোর্ট  মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. এম এম শাহাজাহান মুকুল, আব্দুল হালিম হিরু, যুগ্মসম্পাদক মাহামুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, দফতর সম্পাদক আবু আলা সামছুজ্জামান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তবারক হোসেন চেয়ারম্যান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামান খোকন, জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, বন সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আওরঙ্গজেব বেল্টু, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুর রউফ মিয়া, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মফিজুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা শিবিরের সভাপতি বেলাল হোসাইন, সদর উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মণ্ডল, আইলহাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর নবী সামদানী, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেরেগুল ইসলাম, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইবাদত হোসেন, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশাবুল হক, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রায়হান কাজল, মোমিনপুর ইউনিয়ন আমির বজলুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুনছুর আলী মনো, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন আমির ওসমান গণি প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৮৩ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কায়েমকাটার মোড়ে পুলিশি বাধায় জোটের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার রাজনগরে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।               রোববার সকাল ৭টার দিকে মেহেরপুর-কাথুলী সড়কে কায়েমকাটার মোড় এলাকায় জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করার চেষ্টা করলে তা পুলিশি বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে মাঠের মধ্যে অবস্থান নেয় এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনায়। এর আগে থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল জলিল ও সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো। পুলিশ সড়কের ওপরে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে সহায়তা করে। এক পর্যায়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সকাল পৌনে ৯টার দিকে অবরোধকারীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে ৪টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল।

এদিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সংগঠনের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কে ওই বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অবরোধ সফল করার আহ্বান জানায়। তারা কয়েক মিনিট বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থান ত্যাগ করেন। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের খুলনা বিভাগীয় নেতা আব্দুল মতিন। বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুল জাব্বার, আব্দুল রহিম, মহাসিন আলী, আলীহিম, মিনারুল ইসলামসহ ১৮ দলীয় জোট নেতারা।

অবরোধের ২য় দিনেও আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার কোনো বাস-চলাচল করেনি। তবে সন্ধ্যার দিকে সবজি বোঝায় বেশ কিছু ট্রাক রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে মেহেরপুর ত্যাগ করে। এছাড়া দিনভর ছোট ছোট যান ইজিবাইক, শ্যালোইজ্ঞিনচালিত নসিমন-করিমন, আলগামন-আলমসাধু ও রিকসা-ভ্যান চলাচল করছে। শহরের মোড়ে মোড়ে ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের পাহারা দিতে দেখা যায়।

ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আটককৃত সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে ডাকবাংলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির। সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদাহের ডাকবাংলা বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে শুরু করে ডাকবাংলা ত্রীমহনি বাজার ঘুরে বাসস্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। ১৮ দলীও জোটের ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের এ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ঝিনাইদহ সদর পঞ্চিমশাখার সভাপতি মো. নাজমুল হোসাইন। এ সময় শিবির নেতৃবৃন্দ হরতাল অবরোধসহ আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। আটক নেতাদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোনের হুঁশিয়ারি দেন জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিলটি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। জীবননগর পাইলট হাইস্কুল ক্যাম্পাস থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমির প্রভাষক খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমির মাও. মহিউদ্দিন, উপজেলা সেক্রেটারি মাও. ইসরাইল হোসেন, পৌর আমির মাও. সাজেদুর রহমান, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, পৌর সেক্রেটারি গোলাম রসুল, হাসাদহ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, উথলী ইউনিয়ন আমির আসাবুল হক মল্লিক, সীমান্ত আমির আতিয়ার রহমান, হাসাদহ ইউনিয়ন আমির কামাল উদ্দিন, রায়পুর ইউনিয়ন আমির মাও. সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, শহর সভাপতি ফিরোজ হোসেন, উপজেলা সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, শহর সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।