চুয়াডাঙ্গা বিএনপির দু পক্ষের মিছিল : একপক্ষের মিছিল থেকে দুজন গ্রেফতার : মেহেরপুর রাজনগরে ককটেল বিস্ফোরণ : সরোজগঞ্জে সড়কে অবস্থান ঝিনাইদহে অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ গুলিবর্ষণ : পুলিশসহ আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের চলমান অবরোধের তৃতীয় দিনে সোমবার ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালী, ভোলা, মাগুরাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় অবরোধকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ ৬২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৮ দলের দু শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বিএনপির অহিদুল ইসলাম পক্ষের মিছিল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো- বেলগাছি রেলগেটপাড়ার ইউনুচ আলীর ছেলে ওয়ালিদ হোসেন (২২) ও দৌলাতদিয়াড়ের সহর আলীর ছেলে বিদ্যুত হেসেন (২০)। মেহেরপুরের রাজনগরের কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। ঝিনাইদহে অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। বিএনপির দাবি তাদের ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশের ৫ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা বিএনপির দু পক্ষ পৃথক পৃথক স্থান থেকে মিছিল বের করে।

এদিকে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে আবারও নতুন করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। যানবাহনে অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে একলাখ টাকা আর ককটেল, হাতবোমা ও পেট্রোলবোমা হামলাকারীদের ধরিয়ে দিতে পারলে ২৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হবে। এর আগে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। ওই ঘোষণার পর ৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

একতরফা নির্বাচনের তফশিল স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট টানা ৮৩ ঘণ্টার সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় শেষ হবে এ কর্মসূচি। এদিকে পুলিশি পাহারায় চলাচলকারী বগুড়ায় একটি বিআরটিসির বাস পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। নোয়াখালীসহ কয়েকটি স্থানে ভাঙচুর করা হয়। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৮ দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান নিয়ে সকড় অবরোধ করে রাখে। চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে টানা তিন ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। রাজধানীতে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অবরোধের সমর্থনে শহরের কয়েকটি স্থানে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে। তবে দিন দিন মিছিলের সংখ্যা ও ককটেল বিস্ফোরণের পরিমাণ কমে আসছে। রাজধানীর সড়কগুলোতে আগের দিনের চেয়ে যান চলাচল কিছুটা বেড়েছে। শহরের অনেক মোড়ে হালকা যানজটও চোখে পড়ে। সোমবারও পুলিশি নিরাপত্তায় রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে কিছু দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়। সোমবার পুলিশি পাহারায় রাজধানী থেকে বেশ কয়েকটি বিআরটিসির বাস ছেড়ে যায়। একইভাবে পুলিশি পাহরায় কয়েকটি বিআরটিসির বাস ঢাকায় আসে। ট্রেন চলাচল করলেও সময় সূচি ভেঙে পড়েছে। যাত্রী সংখ্যাও কম।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবরোধের তৃতীয় দিনে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের শহীদ হাসান চত্বর হয়ে কোর্ট অভিমুখে যাওয়ার পথে হোটেল আল-মেরাজের সামনে যৌথবাহিনীর বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফ। বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, সদর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী শাহ। নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিন মাস্টার, সদর পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, যুবদল নেতা আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মকলেছুজ্জামান মকলেছ, মামুন রেজা সবুজ, ফারুক মল্লিক, আরিফুজ্জামান পিন্টু, শফিকুল ইসলাম পিটু, গোলাম কিবরিয়া তিস্তা, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এমএ তালহা, যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, জেলা ওলামাদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, হাফেজ আল জাহিদ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন অধিকারী, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক আতিয়ার রহমান, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদত মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান হীরা, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান রিজু, সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান হাবলু, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সোবহান, পৌর বিএনপির ১ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সাত্তার মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান, ৯ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জাভেদ ইকবাল মিজান, শফিকুল কবির জুয়েল প্রমুখ।

অপরদিকে অবরোধের সমর্থনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বেলা ১১টার দিকে কোর্টমোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কোর্টমোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. এম এম শাহাজাহান মুকুল, আব্দুল হালিম হিরু, যুগ্মসম্পাদক মাহামুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, দফতর সম্পাদক আবু আলা সামছুজ্জামান, জেলা জামায়াত ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, জেলা বিএনপির বন সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মফিজুর রহমান, পৌর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, যুগ্মআহ্বায়ক হাবিবুর রহমান শেখন, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, জেলা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নুর গণি, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর নবী সামদানী, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেরেগুল ইসলাম, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইবাদত হোসেন, পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনু, দফতর সম্পাদক ইয়াছিন হাসান কাকন প্রমুখ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৮৩ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মিছিলকারীরা। সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ১৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে শৈলকুপা শহরের কবিরপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, অবরোধের সমর্থনে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপুর নেতৃত্বে শহরে মিছিল বের করে দলীয় নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কবিরপুর মোড় পৌঁছুলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের দিকে ইট ছুঁড়তে ছুঁড়তে এগুনোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ ৬ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীরা অগ্রণী ব্যাংক ও কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখাসহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। সংঘর্ষ চলাকালে শৈলকুপা শহরের চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপু বলেন, পুলিশের কাঁদানেগ্যাস ও শর্টগানের গুলিতে তাদের ১১ কর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর কয়েকজন বিএনপি নেতার বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শৈলকুপা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, অবরোধকারীদের ইটের আঘাতে শৈলকুপা থানার এসআই আব্দুল আজিজ, কনস্টেবল রুবেল, ছবেদ আলী, তোতা মিয়া আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা ৮৩ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেলে জীবননগরে বিএনপি বাবু খান গ্রুপ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবশে করেছে। এ ছাড়াও সকালে জীবননগর-কালীগঞ্জ সড়কের বনবিভাগের সামনে ছাত্রশিবির মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

বিকেলে উপজেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে বিএনপি বাবু খান গ্রুপ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় অবিলম্বে জোটের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা পৌর কাউন্সিলর কাজি নাসির ইকবাল ঠাণ্ডু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম রফা, আব্দুর রাজ্জাক, জাকির হোসেন লিটন, সান্টু, আব্দুল গফুর, রিয়াজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম নজু, লিটন, আলী কদর, যুবদল নেতা আরিফুজ্জামান আরিফ, আব্দুল আলিম, মিনাজ, আলফাজ উদ্দিন, আব্দুস সালাম, সাহাজান আলী প্রমুখ।  

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডঙ্গা সরোজগঞ্জ ১৮ দলের  উদ্যোগে গতকাল সোমবার বিকেলে সরোজগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিলি ও অবরোধ করা হয়। মিছিলটি সরোজগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মসজিদ মার্কেটের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে।  বক্তব্য রাখেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, থানা বিএনপির একাংশে সভাপতি ১৮ দলের আহ্বায়ক অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল, ১৮ দলের যুগ্মআহ্বায়ক জামায়াতের সদর থানা আমির আব্দুর রউফ মিয়া, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক আব্দুল হান্নান, সহপ্রচার সম্পাদক শাইফুল ইসলাম, জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী রউফুন নাহার রীনা, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মহবুল হক, যুগ্মআহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন, আমিরুল ইসলাম লাল, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরনবী সামদানি, সাধারণ সম্পাদক রুমজান আলী, সহসভাপতি রাইহান উদ্দিন, সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ ওরফে টিটন মেম্বার প্রমুখ। এ সময় ১৮ দলের নেতাকর্মীরা রাস্তার ওপর বসে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সরোজগঞ্জ মসজিদ মার্কেটের সামনে ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কে সদর উপজেলার রাজনগরে অবরোধের চেষ্টা করেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবি’র বিপুল সংখ্যক সদস্য তাদের বাধা দেয়। ওই সময় অবরোধকারীরা ৬/৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এছাড়া জেলার অন্যকোনো স্থানে জোটের নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ করতে দেখা যায়নি। তবে ৮৩ ঘণ্টা অবরোধের শুরুর দিন থেকেই আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে।