চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিশ্ববই দিবস পালন ॥ পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্ববই দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারা দেেশ  বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সেকায়েপভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ ও প্রদর্শনী, বইমেলা, র‌্যালি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও জীবননগর উপজেলার ১৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৮ হাজার ২৮৬ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে। বিশ্ব বই-দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায় প্রায় সবকয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইপড়ার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।
উপস্থিত বক্তাদের সকলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরির উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অনুধাবন করে বক্তব্য প্রদান করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা বাস্তবায়নে মননশীল, সুশিক্ষিত, উন্নত জাতি গড়তে হলে পড়–য়া সমাজ গঠনের বিকল্প নেই। জ্ঞান নির্ভর সমাজ গঠন করতে বইপড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুলতে ছাত্র-ছাত্রীদের লাইব্রেরিমুখী করতে হবে। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেব প্রসাদ পাল, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন, একাডেমিক সুপারভাইজার সোহেল আহম্মেদ, আলমডাঙ্গার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।
এ বছর কর্মসূচির আওতায় যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে ৯ হাজার শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করায় তাদের হাতে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরাপাঠকের প্রায় ২০ হাজার বই পুরস্কার হিসাবে তুলে দেয়া হয়।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পাঠাভ্যাস কর্মসূচির বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৩ এপ্রিল সকালে বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমিতে এ বই উৎসব উপলক্ষে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম। সহকারী গ্রন্থাগারিক জেসমিন নাহারের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিটিএ সভাপতি ইউনুস আলী, সিনিয়র শিক্ষক কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। শেষে সেকায়েপভুক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কারের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই তুলে দেয়া হয়। বাদল স্মৃতি একাডেমির শিক্ষার্থীরা এ বছর উপজেলার সর্বাধিক অর্থাৎ ২শ’ ২৫ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার লাভ করে। এদিকে একই দিনে সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, এরশাদপুর একাডেমি, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচলিয়া জামাল স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হারদী মীর শামসুদ্দীন আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব পালিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল রোবাবর দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকায় বিশ্ব বই দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় অংশ নিয়ে খুলনা বিভাগে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় জীবননগর বালিকা বিদ্যালয়সহ দেশের সেরা ১০টি স্কুলে বিশ্ব বই দিবসের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ ভিডিও কনফারেন্স করেন শিক্ষামন্ত্রী। জীবননগর বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠাভ্যাস কর্মসূচির পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্ব অর্জনকারী ২৩৬ জন ছাত্রীকে বই দিয়ে পুরস্কৃত করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র।
বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে জীবননগর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় হলরুমে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রজেক্ট প্রোগ্রাম অফিসার প্রদীপ কুমার পাল। এ সময় মঞ্চে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী পল্লি উন্নয়ন অফিসার শহিদুল্লাহ লিমন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমআর বাবু, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার দেলোয়ার হোসেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডা. আব্দুল আউয়াল সেন্টু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাদব কুমার প্রামাণিক। শিক্ষক সালাহ উদ্দিন কবীরের সঞ্চালনায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আলম মিম।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, ২৩ এপ্রিল ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব বই দিবস। পৃথিবীর প্রায় একশ’ দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। এই দিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য তরুণদের বইপড়ায় আগ্রহী করে তোলার জন্য পাঠাভ্যাসের প্রসার ও সুযোগ বৃদ্ধি করা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ প্রকল্প এ লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশে গতকাল রোববার ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব বই দিবসে সেকায়েপ প্রকল্পভুক্ত ২৫০ উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সালের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও বইপড়ার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ৬ লাখ ৫০ হাজার পুরস্কার বিজয়ীর হাতে ১০ লক্ষাধিক বই বিতরণ করা হয়। বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে সেকায়েপভূক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ ও প্রদর্শনী, বই মেলা, র‌্যালি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।
ঢাকায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে শিক্ষামন্ত্রী, সচিব মহোদয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সেকায়েপ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে ৭ উপজেলার নির্বাচিত পুরস্কার বিজয়ীদের নিয়ে একটি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
মেহেরপুর জেলার ৩ উপজেলায় ১৪৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই জেলায় মোট ২১৮৩৯ জন ছাত্র-ছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। এদিকে গতকাল রোববার বিশ্ব বই-দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায় ১৩৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইপড়ার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। বইপড়া কর্মসূচি সদস্যদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এসকল সভায় শিক্ষক, অভিভাবক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা বইপড়ার গুরুত্ব ও লাইব্রেরি উন্নয়নের তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। উপস্থিত বক্তাদের সকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরির উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অনুধাবন করে বক্তব্য প্রদান করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা বাস্তবায়নে মননশীল, সুশিক্ষিত, উন্নত জাতি গড়তে হলে পড়–য়া সমাজ গঠনের বিকল্প নেই। জ্ঞান নির্ভর সমাজ গঠন করতে বইপড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই এই অভ্যস গড়ে তুলতে ছাত্র-ছাত্রীদের লাইব্রেরি মুখি করতে হবে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈনুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল খায়ের। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার অরুণ কুমার রায়সহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ। এদিকে এদিন বেলা ৯টার দিকে অধ্যক্ষ মহা. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিএম কলেজ কেন্দ্রে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মেহেরপুরের প্রোগ্রাম অফিসার অরুন কুমার রায়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুরের ফতেপুর গাজীরননেছা বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে এ আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুর রহমান। বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ ও প্রদর্শনী, র‌্যালি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এছাড়া বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এর আগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্কুল মাঠে এসে শেষ হয়। সবশেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। একই সময়ে মহেশপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মহেশপুর শহরে র‌্যালি বের করে। মহেশপুর উপজেলায় ৬৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৬ সালে এই উপজেলায় মোট প্রায় ১১ হাজার জন ছাত্র-ছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। বিশ্ব বই-দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায় ৬৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইপড়ার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। বইপড়া কর্মসূচি সদস্যদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এসকল সভায় শিক্ষক, অভিভাবক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা বইপড়ার গুরুত্ব ও লাইব্রেরি উন্নয়নের  তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। উপস্থিত বক্তাদের সকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরির উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অনুধাবন করে বক্তব্য প্রদান করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা বাস্তবায়নে মননশীল, সুশিক্ষিত, উন্নত জাতি গড়তে হলে পড়–য়া সমাজ গঠনের বিকল্প নেই। জ্ঞান নির্ভর সমাজ গঠন করতে বইপড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই এই অভ্যস গড়ে তুলতে ছাত্র-ছাত্রীদের লাইব্রেরিমুখি করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব বই দিবসটি পৃথিবীর প্রায় ১শ দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়ে থাকে।