চুয়াডাঙ্গায় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালককে জ্বালানি না দিতে ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: এখন থেকে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালককে জ্বালানি (তেল) না দিতে চুয়াডাঙ্গার সকল ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ সংবলিত সচেতনতামূলক ব্যানার টানিয়ে দেয় জেলা পুলিশ। দুপুরে চুয়াডাঙ্গার মোজাম্মেল হক ফিলিং স্টেশনে ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, দেশব্যাপী এ কার্যক্রম চলছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথম এ কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলার ২০টি ফিলিং স্টেশনে সচেতনতামূলক ওই ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়েছে। জনসাধারণকে সচেতন করতে ওই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা ওই নিয়ম মেনে চলবে না তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, হেলমেট ব্যবহারের মাধ্যমে চালক দুর্ঘটনার পাশাপাশি ধুলা বালি থেকেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। তাই হেলমেটের ব্যবহার সম্পর্কে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান জেলা পুলিশেরে এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কার্যক্রম চলাকালে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের গাড়ি আটক করা হয়। হেলমেট কিনে আনলে বা বাড়ি থেকে নিয়ে এলেই ছেড়ে দেয়া হয় গাড়ি। এ সময় হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের জ্বালানি (তেল) না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় খেতে হয়েছে মামলাও। আর যাদের হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার।
এ সময় তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীদের সুরক্ষার জন্যই হেলমেট প্রয়োজন। মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর এই দুর্ঘটনায় বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু হয় মাথায় আঘাতের কারণে। হেলমেট ব্যবহারের ফলে মাথা সেভ থাকবে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমে আসবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা সবক্ষেত্রে আইন প্রয়োগ না করে আইনটা মানুষকে শিখিয়ে সচেতন করতে চায়। মানুষ যখন সচেতন হবে না তখন আমরা ব্যবস্থা নেবো। এটা একটা জনবান্ধব প্রক্রিয়া। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মাহবুব কবির, শাহাবুদ্দিন মোল্লা, আহসান হাবিব, মাহফুজুর রহমান, সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, নবাব আলীসহ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ সংবলিত সচেতনতামূলক ব্যানার টানিয়ে দেয় জেলা পুলিশ।