চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির মিছিলের পুলিশি বাধা : মেহেরপুরের রাজনগরে গাছ ফেলে অবরোধকারীদের শক্ত অবস্থান অক্ষুন্ন অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর আগুন ককটেল বিস্ফোরণ

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষিপ্ত ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকালও চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের রাজনগরে গাছ ফেলে অবরোধকারীরা শক্ত অবস্থানে ছিলো। সড়কে ফেলে রাখা গাছে বেধে আলমসাধু উল্টে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ও কলেজরোডের হাসপাতাল মোড়ের নিকট টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধকারীরা তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। এসময় ছাত্রদলের মঞ্জুরুল জাহিদের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিলও বের হয়। গতকাল দুপুরে দুটি স্থানে টায়ারে আগুন দিলে কিছুক্ষণ পরই পুলিশ অবশ্য তা নিভিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

চুয়াডাঙ্গা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলের সামনে পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য মিছিলটি পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শহীদ হাসান চত্বর অতিক্রম করে। জেলা বিএনপির অপরাংশ গতকালও মিছিল করেছে। মেহেরপুর বিএনপি মিছিল করে অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ঝিনাইদহে গতকাল উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের সড়কগুলোতে গতকালও ছিলো শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানের অধিক্য। এসব যানই যেমন যোগাযোগের বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনই সড়কের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে গণহারে চাঁদাবাজিও করছে কিছু ব্যক্তি।

চুয়াডাঙ্গা তেমন কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া না গেলেও দেশের অধিকাংশ স্থানে স্থানে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক সাবেক কমিশনার আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ারকে ককটেলসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবরোধকারীরা ঝটিকা মিছিল বের করে। কোথাও কোথাও তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একতরফা নির্বাচনের তফশিল স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপি সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিরোধীদল। অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। রেল ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রী ছিলো কম। রাজধানীর সড়কগুলোতে পাবলিক পরিবহনের পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছাড়াও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেখা যায়।

নীলনকশার নির্বাচনের তফশিল বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ১৮ দলের ডাকে ৭২ ঘণ্টার টানা সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহীদ হাসান চত্বর হয়ে কোর্টমোড়ে পৌঁছুলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশি বাধার মুখে মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদল নেতা আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, জেলা যুবদলের নেতা ইমরুল হাসান জোয়ার্দ্দার মুকুল, মামুন রেজা সবুজ, গোলাম কিবরিয়া তিস্তা, আরিফুজ্জামান পিন্টু, জেলা শ্রমিকদলের নেতা শহিদ হোসেন লাড্ডু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, সুজন মালিক, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুস্তাক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, পৌর বিএনপির নেতা জাভেদ ইকবাল মিজান প্রমুখ।

অপরদিকে জেলা বিএনপির অপরাংশ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রহসনের নির্বাচনের তফশিল বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে অবরোধের সমর্থনে চুয়াডাঙ্গা ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সকাল ১১টায় কোর্টমোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কোর্ট মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হালিম হিরু, যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, দফতর সম্পাদক আবু আলা সামছুজ্জামান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লা জোয়া. ছটি, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মফিজুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা তৃণমূল দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, জেলা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহাবুল হক, পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনু, দফতর সম্পাদক ইয়াছিন হাসান কাকন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক একরামূল হক, মিনহাজ উদ্দিন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইবাদত হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের নেতা সাইফুল ইসলাম সুমন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, অবরোধের দ্বিতীয় দিনে মেহেরপুরে চারটি সড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ ককটেল বিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া শহরের কোর্ট এলাকা, শিল্পকলা একাডেমীর মোড় ও বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্নস্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অবরোধকারীরা। অপরদিকে মেহেরপুর কাথুলী সড়কে অবরোধকারীরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে  তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগরে সড়ক অবরোধ করে মিছিল করে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাও. সিদ্দিকুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. মশিউর রহমান, সেক্রেটারি খান জাহান আলীসহ ১৮ দলীয় জোট নেতা-কর্মীরা। পরে সেখানে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাসুদ অরুনসহ ১৮ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।

আমঝুপি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল জাব্বারের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর এলাকায় এলাকায় গাছ ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা জাতীয় নেতা মুক্তি ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। ফলে সকাল থেকেই কয়েক ঘণ্টার জন্য মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বার, আব্দুর রহিম, মহাসিন আলী, আলীহিম প্রমুখ। এদিকে এদিন দুপুরের দিকে একই গ্রামের আক্তারুলের ছেলে আবু জাফর (৬) অবরোধকারীদের দেখা-দেখি রাস্তায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে নিজেই অগ্নিদগ্ধ হয়। তার বাম পায়ের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

বন্দর মোড়ে জেলা জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফারুক হুসাইনের নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করেন জোটের নেতাকর্মীরা। লাঠি হাতে অবরোধ করে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় অবরোধকারীরা। সদর উপজেলা জামায়াতের আমির কাজী রুহুল আমীন, সদর উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মোল্লা, বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান, মজনু জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বার প্রমুখ বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধে অংশ নেন।

এদিকে কায়েমকাটার মোড়ে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় অবরোধকারীরা সেখানে কয়েকটি ককটেল ও চকলেট বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া সকালের দিকে শহরের কোর্ট এলাকা, শিল্পকলা একাডেমীর মোড় ও বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্নস্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ১৮ দলীয় জোট নেতা-কর্মীরা। অবরোধের কারণে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর মোড়ে অবরোধ করেছে জোটের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার  সকাল ৮টার দিকে অবরোধকালে টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়। অবরোধ শেষে মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেদারগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাসুদ অরুন। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির সিদ্দিকুর রহমান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম এবং মুজিবনগর উপজেলা জামায়েতের সেক্রেটারি ও জোটের নেতৃবৃন্দ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, অবরোধের দ্বিতীয় দিনে শান্তিপূর্ণভাবে ঝিনাইদহে অবরোধ পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় ঝিনাইদহ শহরের হামদহে জেলা বিএনপি একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তিনি। এছাড়া শহরের চাকলাপাড়া, আরাপপুর ও পবহাটিতে মিছিল বের করে বিএনপি।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, অবরোধের সমর্থনে দর্শনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে যুবদল এবং ছাত্রদল। গতকাল বুধবার বিকেলে দর্শনা পৌর যুবদল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে পুরাতন বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেরুজ মিলগেট এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আজিজুল ইসলাম, শফিউল্লাহ, সেলিম, দর্শনা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাহারুল ইসলাম শিক্ষক, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, সাঈদ, অপু, শহিদুল, সবুজ, ছোট সাঈদ, মোতালেব, শরীফ উদ্দিন, ছাত্রদলনেতা টুটুল, জাহান আলী, শিমুল, হাসু, সজিব, মুন্না, মুকিত প্রমুখ।