গাংনীতে বাজার পরিদর্শনকালে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন 

 

মূল্য বৃদ্ধিতে কোনো অঘটন ঘটলে তার দ্বায়ভার ইউএনওকে নিতে হবে

গাংনী প্রতিনিধি: এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুর গাংনীতে চালের মূল্য আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ছয় টাকা থেকে আট টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের মোকামে দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে ৪/৫ দিন ধরে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করলেও প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য গতকাল শুক্রবার বামন্দীতে চাল বাজার পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে গতকাল থেকেই বাজার মনিটরিং শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন। ব্যবসায়ীদের কঠোর বার্তা দিচ্ছেন ইউএনও।

জানা গেছে, সারাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভোক্তা পর্যায়ে গেলো সপ্তাহ থেকে খাদ্যসহ নিত্যপণ্য মজুদ শুরু হয়। যার বিরুপ প্রভাব পড়ে চালসহ নানা পণ্যের ওপর। আকস্মিকভাবে ক্রেতাদের কাছে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে পণ্যের দর বৃদ্ধি পেয়ে যায়। বর্তমানে বাজারের দোকানগুলোতে চাল অল্প পরিমাণ আছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। অটো রাইস মিল থেকেই দর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এ এলাকার চাউল ব্যবসায়ীরা।

গাংনীর বামন্দি বাজারের সোহেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সোহেল জানান, চালের বৃহত্তম বাজার কুষ্টিয়ার খাজানগর ও ঝিনাইদহ ডাকবাংলো থেকে চড়ামূল্যে চাল কিনে আনতে হচ্ছে। বহন খরচসহ সেই চাল স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রি করতে হয় ফলে কিছুটা দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি চালের মোকামগুলোতে সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানান।

এদিকে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও সাধারণ জনগণের প্রতি ব্যবসায়ীদের সহনশীল হবার আহ্বান জানিয়ে গাংনী ও বামন্দি বাজার পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি পদক্ষেপের ব্যাপারে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান কোনই পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। মূল্য বৃদ্ধিতে জনমনে কোনো অসন্তোষ ও কোনো অঘটন ঘটলে তার দ্বায়ভার ইউএনওকে নিতে হবে।

অপরদিকে, জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়ায় শুক্রবার বন্ধের দিনে জুম্মার নামাজের আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ানুর রহমান বাজার পরিদর্শনে যান। সেসময় সকল দোকান পাট বন্ধ ছিলো। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত সোমবার থেকে বাজারে মূল্য বৃদ্ধির সংবাদ উপজেলা প্রশাসন অবগত হলেও শুক্রবারে ছুটির দিনে অভিযান পরিচালনা করায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

এদিকে, গতকাল দুপুরে অ্যাসিল্যা-ের অভিযানের পর ইউএনও মাঠে নামেন। তিনি বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার বিষয়ে কঠোর বার্তা দেন দোকানীদের।