কুষ্টিয়ায় মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলালকে গুলি করে খুন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া মিনিবাস মালিক সমিতির পরপর পাঁচবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন দুলালকে (৪৫) গুলি করে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিঙ এলাকার সি-২৪ ব্লকে তার নিজ বাসার অদূরে হাউজিং কালভার্টের কাছে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে শহর থেকে মোটরসাইকেলযোগে হাউজিঙের বাড়ি ফেরার পথে ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েন তিনি। তাকে খুব নিকট থেকে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি করে দুর্বৃত্তরা। কয়েকটি গুলি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলি করে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নূর হোসেন দুলালকে কেন খুন করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যার নেপথ্য উন্মোচনে ইতোমধ্যেই পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুলালের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। পরিবরের সদস্যরাও হত্যা সম্পর্কে তেমন মন্তব্য করেনি। তবে স্থানীয়রা বলেছে, গত শুক্রবার রাতে নূর হোসেন দুলালের হাউজিঙ সি-২৪ ব্লকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরদল তার বাড়ি থেকে ২৯ ভরি সোনার গয়নাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নূর হোসেন দুলাল কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার সাথে খুনের সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন ও কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নূর হোসেন দুলাল অত্যন্ত  সৎ ও নামাজী ছিলেন। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার জনক। নূর হোসেন দুলালের মৃত্যুতে কুষ্টিয়ায় মানুষ জনের মধ্যে চরম আতঙ্ক নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর একইভাবে মোটরসাইকেলযোগে এসে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মুন্সী রশিদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।