আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শূরু আগেই আনছারবাড়িয়া-ছাবদালপুরের মধ্যবর্তী রেললাইনে ফেলা হয়েছে গাছ

স্টাফ রিপোর্টার: একতরফা নির্বাচন বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চতুর্থ দফা দেশব্যাপি টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দিয়েছে বিরোধীজোট। আজ ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সড়ক, রেল ও নৌপথে দেশব্যাপি এ অবরোধ পালিত হবে। অবরোধ শুরুর আগেই গতরাতে চুয়াডাঙ্গার আনছারবাড়িয়া-ছাবদালপুর রেললাইনের মধ্যবর্তী স্থানে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখা হয়। ফলে ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসটি গতরাত ২টার দিকে উথলী স্টেশনে আটকে যায়। যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এর আগে একতরফা নির্বাচনের তফশিল বাতিলের দাবিতে গত ২৫ নভেম্বরের পর থেকে তিন দফা ১৫ দিন অবরোধ পালন করে বিরোধীজোট। নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনাও শুরু হয়েছে। কিন্তু সরকার তার নির্বাচনী নাটক বন্ধ করেনি। জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। তিনি বলেন, জনগণের এ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ নির্বাচনী প্রহসন বাতিলের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপি ৭২ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালিত হবে।

এদিকে এ অবরোধ কর্মসূচির ডাক শুনে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, আমজনতা জিম্মি করা ছাড়া  আর কি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই? একের পর এক লাগাতার অবরোধে অতিষ্ঠ হয়েই তারা এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অবশ্য কেউ কেউ বলেছে, সরকার যখন একগুঁয়েমি, তখন বিরোধীদেরই বা এ ছাড়া কী করার আছে?