স্বয়ংসম্পূর্ণ ফিল্ম সিটি নির্মাণ করছেন ডিপজল

 

 

 

 

বিনোদন প্রতিবেদক: চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থা কাটাতে একাধিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন ডিপজল। নিজে সিনেমা প্রযোজনার পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটি গড়ে তুলছেন। এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রে মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। এর অন্যতম কারণ ভালোমানের গল্পের অভাব। দর্শক ছবিতে এক সিকোয়েন্সের সঙ্গে আরেক সিকোয়েন্সের কোনো সূত্র ধরতে পারছেন না। এতে তারা বিরক্ত হয়ে উঠছেন। তার মতে, দর্শক সিনেমা দেখেন না, এ কথাটি ঠিক নয়। ভালো গল্প ও সঠিক নির্মাণ কৌশল হলে দর্শক সিনেমা হলে যাবেই। এখন যেসব সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, সেগুলো দেখতে দর্শক হলে যাচ্ছে ঠিকই, তবে সেগুলোর মান খারাপ হওয়ায় তাদের মনে এ ধারণা জন্ম নিচ্ছে যে, এখন আর ভালো সিনেমা হয় না। বলা যায়, নিুমানের সিনেমা মুক্তি দিয়ে দর্শকদের হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। এজন্য অধিকাংশ নির্মাতাই দায়ী। এখন এমন অনেক নতুন নির্মাতা সিনেমা নির্মাণ করছেন, যাদের সিনেমা নির্মাণের অভিজ্ঞতা নেই। তারা দর্শক কী চায়, এ বিষয়টিই ধরতে পারছে না। ডিপজল আরও বলেন, ‘এভাবে সিনেমা শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের সিনেমার বাজার সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা। দর্শক কী ধরনের সিনেমা দেখতে চায়, এ বিষয়টি জানা। চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে তার মালিকানাধীন ফাহিম স্টুডিওকে একটি অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি হিসেবে গড়ে তুলছেন। এরই মধ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নতুন একটি ফ্লোর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে একসঙ্গে দুটি ফ্লোরে কাজ করা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা, লাইটিং, এডিটিং প্যানেল ও ডাবিং থিয়েটারও রয়েছে এখানে। একজন নির্মাতা এখান থেকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণ করে বের হয়ে যেতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, এরই মধ্যে দেশের সিনেমা হলগুলোতে আধুনিক প্রজেকশন মেশিন স্থাপনের উদ্যোগও নিয়েছি। এর ফলে বর্তমানে হল মালিকরা যেসব প্রজেকশন মেশিন ভাড়া করে সিনেমা প্রদর্শন করছেন, তার চেয়ে অর্ধেক ভাড়ায় আমার প্রজেকশন মেশিন পাবেন। এতে তাদের খরচ যেমন কমে যাবে, তেমনি নতুন সিনেমা চালাতেও উৎসাহী হবেন।’ পাশাপাশি শিল্পী সংকট কাটাতে একদল নতুন শিল্পীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করছেন তিনি। এসব শিল্পী তার নির্মাণাধীন সাতটি সিনেমায় পর্যায়ক্রমে দেখা যাবে। সিনেমাগুলোর কাজ আগামী মাস থেকে শুরু হবে বলে ডিপজল জানান।