সংগীত জীবনের অর্ধশতকে লন্ডন মাতাবেন রুনা লায়লা

 

সংগীত জীবনের অর্ধশতকে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়ন হলে গানে গানে শ্রোতাদের মাতাবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী রুনা লায়লা। লন্ডন স্থানীয় সময় শুক্রবার  পূর্ব লন্ডনে বরেণ্য এ শিল্পীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক সংগঠন ইউকে ডক্টর শেফ লিমিটেড। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়ন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গানে গানে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখবেন রুনা লায়লা। সংগীত সন্ধ্যা থেকে সংগৃহীত অর্থ মানবকল্যাণে ব্যয় করার জন্য চ্যারিটি সংস্থাকে দেওয়া হবে। ইউকে ডক্টর শেফ লিমিটেড এর পরিচালক ডা. অর্পিতা রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী রুনা লায়লা নিজে উপস্থিত ছিলেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এতে মিডিয়া পার্টনার এটিএন বাংলার সিইও হাফিজ আলম বকস ও চ্যানেল এস এর ফারহান মাসুদ খানসহ ব্রিটেনের বাংলা মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকরা রুনা লায়লাকে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো উপমহাদেশের গর্ব হিসেবে উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, রুনা লায়লা এমন এক শিল্পী যিনি বাংলাদেশসহ পুরো উপমহাদেশের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। গানের জগতে খুব ছোটবেলায় সম্পৃক্ত হন বরণ্যে এ শিল্পী। সংগীত জীবনের অর্ধশতকে রুনা লায়লার সাফল্যের ঝুঁড়িতে জমা হয়েছে অসংখ্য পুরস্কার, এমন মন্তব্য করে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ সংগীত শিল্পী প্রথম প্লেব্যাক করেছিলেন উর্দু ছবি ‘জুগনু’-এ। ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন তিনি। বাংলা সিনেমায় প্রথমবারের মতো মাহমুদুন্নবীর সঙ্গে ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’ শিরোনামের দ্বৈত সংগীতে কণ্ঠ মেলান রুনা লায়লা।

জনপ্রিয় এ শিল্পী এ পর্যন্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সর্বমোট ছয়বার। অর্জন করেছেন স্বাধীনতা পদক, ভারতের সায়গল পুরস্কার, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিক পুরস্কার (স্বর্ণপদক) সহ আরো অনেক পুরস্কার।

‘শিল্পী আমি’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম’, ‘সাধের লাউ’, ‘দমাদম মাসকালান্দার’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’ ও ‘দে দে পেয়ার দে’র মতো জনপ্রিয় গানসহ দশ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ সুর স¤্রাজ্ঞী।