৬ বাড়িতে নগদ টাকা সোনার গয়নাসহ মালামাল লুট

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর, মোহাম্মদপুর ও কেরুজ হাসপাতালপাড়ায় ডাকাতেরা ৬ বাড়ির ১০ পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট করেছে। নগদ টাকা, সোনার গয়না ও মোবাইলফোনসহ প্রচুর টাকার মালামাল লুট করে ডাকাতদল। পরপর দু রাতের ব্যবধানে গণডাকাতির ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে ডাকাতি আতঙ্ক। পুলিশি টহল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতপরশু রোববার রাত দুটোর দিকে দর্শনা কেরুজ হাসপাতালপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আ. রাজ্জাকের বাড়ির গ্রিল কেটে ডাকাতেরা ভেতরে ঢোকে। বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখোশধারী ডাকাতেরা নগদ ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ৭ ভরি সোনার গয়না, মোবাইলফোনসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এরপরই ডাকাতেরা একই পাড়ার বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোশাররফের বাড়িতে হামলা চালায়। ডাকাতেরা বাড়ির দ্বিতীয়তলার জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ির সদস্যদের। এ সময় নগদ ১০ হাজার টাকা, সোনার গয়না ও মোবাইলফোনসহ ১ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এদিকে গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে ৮-১০ জনের সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাতদল হানা দেয় দর্শনা পৌর শহরের দক্ষিণচাঁদপুর গ্যাং কোয়ার্টারপাড়ার কামাল মণ্ডলের ছেলে নুর ইসলামের বাড়িতে। ডাকাতেরা নুর ইসলামের বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে নগদ ২০ হাজার টাকা, ২ ভরি ওজনের সোনার গয়নাগাটি, মোবাইলফোনসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে। একই রাত দুটোর দিকে ডাকাতদল হামলা চালিয়েছে শহরের মোহাম্মদপুর মসজিদপাড়ায়। মসজিদপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে সোহরাব হোসেনের দ্বিতল বাড়ির ৪ ভাড়াটিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে নগদ প্রায় ৪৮ হাজার টাকা, ৩ ভরি সোনার গয়না, ৮-৯টি মোবাইলফোনসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এরপর ডাকাতেরা হামলা চালায় ইউনুস আলী ও আকবর আলী মাস্টারের বাড়িতে। আকবর মাস্টারের বাড়ির প্রধান ফটকের গ্রিল কাটতে ব্যর্থ হলেও ইউনুস আলীর বাড়িতে লুটপাট করে। ৬ বাড়ির ১০ পরিবারের কাছ থেকে নগদ টাকা, সোনার গয়নাগাটি ও মোবাইলফোনসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। ডাকাতি ঘটনার পরপর পুলিশের দেখা মেলেনি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন। গণডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের টহল নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে পরপর দু রাতে ডাকাতির ঘটনায় বিরাজ করছে আতঙ্ক। কোনো কোনো মহল্লায় রাত পাহারার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও শোনা গেছে।