৬ দিন পর বুধবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি আজকালের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে। ৬ দিন পর বুধবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় দলের সিনিয়র বেশ কয়েকজন ও জোটের শরিক নেতা তার সাথে দেখা করেন। অনির্ধারিত ওই বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চলমান আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের সিনিয়র নেতা ও জোটের শরিকদের বেশিরভাগ নেতা আগামী সপ্তায় আবারও হরতাল দেয়ার পক্ষে। তফশিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চায় তারা। তফশিল ঘোষণার পরপরই অবরোধসহ অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির ব্যাপারে জোটের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আসছে সপ্তার কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে গতকাল রাতে খালেদা জিয়া দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকতে পারেন বলে দলীয়সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির একাধিক নেতা জানান, আগামী সপ্তার শুরুতে রোব ও সোমবার হরতাল না দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা ডেসাই বিশওয়াল। ১৮ নভেম্বর সোমবার রাতে তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। ১৭ নভেম্বর বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সাথে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে। চলমান সংকট সমাধানে তার সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছে বিএনপি। তাই হরতাল সহিংসতার মতো কর্মসূচি থেকে ওই সময় বিরত থাকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
গত দু সপ্তা টানা ৬০ ঘণ্টা করে হরতালের পর গত বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণার পরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময়ে খালেদা জিয়ার বাসা ও গুলশান কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এর প্রতিবাদে হরতালের মেয়াদ ১২ ঘণ্টা বাড়িয়ে ৮৪ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়। পূর্বনির্ধারিত কোনো কর্মসূচি না থাকায় গত শনিবারও বাসা থেকে বের হননি খালেদা জিয়া। এরপর রোববার সকাল ৬টা থেকে টানা ৮৪ ঘণ্টা হরতাল শুরু হলে বাসা থেকে আর বের হননি তিনি। তার বাসার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নেতাকর্মীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করায় তাকে গৃহবন্দি করা হচ্ছে কি-না এ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। তবে একদিন পর তার বাসার সামনে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করা হলে এ গুঞ্জনের অবসান ঘটে।