৫ম শ্রেণির ছাত্রীর অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা

দর্শনা হেলথ অ্যান্ড হোপ প্রাইভেট হাসপাতালে আলটাসনো রিপোর্টে ভুল

 

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী অল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেলো। দর্শনা হেলথ অ্যান্ড হোপ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে রোগ নির্ণয়ের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হলেও প্রতিবেদনে ভুল করেছেন চিকিৎসক। আসলে চিকিৎসকের ভুল নাকি মেশিনে ত্রুটি।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঝাডাঙ্গা মসজিদপাড়ার শহিদুল ইসলামের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মুক্তি। বেশ কিছুদিন থেকে পেটের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলো। মুক্তিকে চিকিৎসার জন্য গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে আনা হয় দর্শনা হেলথ অ্যান্ড হোপ প্রাইভেট হাসাপাতালে। ওই হাসপাতালে মুক্তির পেট আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হলে তাতে দেখা যায় বড় ধরনের সমস্যা। ডা. মোমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আল্ট্রাসনোগ্রাফির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তির পেটে ফাইবার ইউটাস রয়েছে। যা দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। প্রতিবেদন ভুল হতে পারে ধারণা করে মুক্তির পরিবার অন্য একটি ক্লিনিকে ফের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে। এতে দেখা যায় মুক্তির অ্যাপেন্ডিসাইট হয়েছে। ওই দিনই বিকেলে দর্শনা মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় মুক্তির অ্যাপেন্ডিসাইট। এখন সুস্থ রয়েছে মুক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেছেন, হেলথ অ্যান্ড হোপের আল্ট্রাসনো প্রতিবেদন যা উল্লেখ করা হয়েছে তা কোনোভাবেই এ বয়সী মেয়ের সম্ভব না। ফাইবার ইউটাস সাধারণত ৪৫/৫০ বছর বয়সী মহিলাদের হয়ে থাকে। ফাইবার ইউটাস অস্ত্রোপচার করা হলে একজন নারী কখনো মা হতে পারে না। এ কথা শুনে হাফ ছেড়ে যেন রক্ষা পেলো মুক্তির পরিবার।

এ ব্যাপারে হেলথ অ্যান্ড হোফ প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক জান্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, রিপোর্ট চিকিৎসকের ব্যাপার। তার মেশিনে ত্রুটি নেই বলে তিনি স্বীকার করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জেনের দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।