৪৩ কেজি গাঁজাসহ ৬ জন গ্রেফতার : মোটরসাইকেল জব্দ

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের মাদকবিরোধী সফল অভিযান

দামুড়হুদা/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা থানা পুলিশ মাদকবিরোধী পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪৩ কেজি গাঁজাসহ ৬ জনকে আটক করেছে। জব্দ করা হয়েছে মাদক চোরাচালানি কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। গতকাল শুক্রবার তাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতদের নামে মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল বাকী ও এসআই লিয়াকত আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চিৎলা-জুড়ানপুর সড়কের কয়ালখালী ব্রিজের নিকট অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রতন (৩৮) ও একই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে মিন্টুকে (৩৬) ৪শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করেন। জব্দ করা হয় মাদক চোরাচালানি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের বাড়ির গোয়াল ঘরের মধ্য থেকে ৪২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। পুলিশ বাড়ির মালিক রফিকুল (৫২) ও তার ছেলে শাহ আলমকে (৩০) আটক করেছে। এছাড়া গতকাল সকালে জয়রামপুর গতির পাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে ওহিদুল (৪২) ও খুলনা বাগেরহাটের জিয়াউদ্দিনের ছেলে শাহিনকে (৪৮) ১শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ৪২ কেজি গাঁজাসহ আটক রফিকুল বলেছে পীরপুরকুল্লার হোসেন আলীর ছেলে কাইদার ও একই গ্রামের কালুর ছেলে নাজমুল ওই গাঁজার মালিক। এছাড়া ৪শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক খাদিমপুরের মিন্টু বলেছে সে কুড়–লগাছির সাইফুলের কাছ থেকে ওই গাঁজা কিনেছে। এ ঘটনায় আটক ৬ জনসহ পলাতক আসামি হিসেবে ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের আজ শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। মাদকের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সে যেই হোক না কেন তাকে আটক করা হবে। মাদকবিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এলাকার সচেতনমহল পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই এলাকায় গাঁজার চাষ হয় না। চোরাকারবারিরা প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে ওই সমস্ত গাঁজা ও ফেনসিডিল এদেশে নিয়ে আসছে। বিজিবি আন্তরিক হলে ভারত থেকে এ সমস্ত মাদকদ্রব্য আসা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে মাদক পুরোপুরি বন্ধ না হলেও এর ভয়াবহতা অনেকাংশে কমে আসবে।