৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটকব্যক্তি সেনা সদস্য

চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ মাদকবিরোধী অভিাযান চালিয়েছে বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অদূরবর্তী হেরিং রাস্তার ওপর। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ বসির নামের একজনকে আটক করেছে। আটককৃত ব্যক্তি নিজেকে সেনাসদস্য বলে পরিচয় দেন। তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সোপর্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসনুন আলম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান বেগমপুর কোলনিপাড়া বাজার-যদুপুর সড়কের বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অদূরবর্তী হেরিং রাস্তার ওপর। এ সময় ওই স্থানে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে একজন লোক দাড়ানো দেখতে পায়। মোটরসাইকেলে বাঁধানো ব্যাগ তল্লাশি করে ফেনসিডিল পাওয়া গেলে দাড়ানো লোকটির সাথে পুলিশের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। তখন তিনি নিজেকে সেনা সদস্য বলে দাবি করেন। ঘটনাস্থল থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ (ঝিনাইদহ-হ-১১-৯১৬৩) তাকে আটক করে ক্যাম্পে নেয়া হয়। গতকাল সকালে আটককৃত সেনাসদস্যের পরিচয় যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানা যায়, তিনি বেগমপুর ইউনিয়নের চিলমারী পাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আলী আকবরের ছেলে সেনা সদস্য ল্যান্স করপোরাল বসির উদ্দীন। তার আইডি নম্বার সিএমপি ০১১৯৫০৮ এবং সেনা নং ৪০৪৩৬০৫। তিনি ঢাকা সেনানীবাসে আর্মি পুলিশ হিসেবে কর্মরত আছেন। আটককৃত বসির উদ্দীনকে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সোপর্দ করা হয়। পরে যশোর সেনানিবাসের এমপি ইউনিটের সদস্যরা এসে তাকে নিয়ে যান।

এদিকে গ্রেফতারকৃত বসির উদ্দীন বলেন, ২ মাসের ছুটি নিয়ে আমি রোববার ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই। রাত সাড়ে ৮টার দিকে উথলী মোড়ে পরিবহন থেকে নেমে গাড়ির জন্য অপেক্ষ করছিলাম। এ সময় উথলীর পোটলার ছেলে বাবুকে বলি বাড়ি যাওয়ার কোনো গাড়ি পাচ্ছি না তুমি মোটরসাইকেল দিয়ে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দাও। মোটরসাইকেলে উঠতেই কোলনি বাজার পাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে শাহীন আমাকে মোবাইল করে বলে চাচা তুমি আমার নিকট যে টাকা পাবা সেটা স্কুলের সামনে এসে নিয়ে যাও। আমি বাড়িতে আসছি সে বিষয়টি শাহীন জানতো। আমি তার কথামতো সেখানে যায় এবং শাহিন বলে এ ব্যাগটি একটু ধরেন। ব্যাগ হাতে নিতেই কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই চারিদিক থেকে পুলিশ এসে আমাকে ঘিরে ফেলে। পুলিশ আমার সাথে খারাপ আচরণ করলে আমিও উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। একপর্যায় আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। সেখানে দুজন পাবলিক ছিলো তদন্ত করলে সঠিকটি জানাযাবে। এদিকে ফেনসিডিলসহ সেনা সদস্যের আটকের বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। সেই সাথে প্রকৃত দোষির শাস্তিরও দাবি তুলেছে তারা।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তোজাম্মেল হোসেন বলেন, যেহেতু তিনি সেনা সদস্য। তাকে তার সদস্যদের হাতে মালামালসহ তুলে দেয়া হয়েছে। তারা তাদের আদালতে বিচার করবে। পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মামলা করেনি।