২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত

স্টাফ রিপোর্টার: ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গতকাল শনিবার সংসদে প্রস্তাবটির উপর দীর্ঘ আলোচনার পর সরকারি দল ও বিরোধী দলের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।

প্রস্তাবটির ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। একাত্তরের গণহত্যার তথ্য-প্রমাণ ও উপাত্ত জাতিসংঘসহ পৃথিবীর দরবারে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যা দিবস হিসাবে পালনের কনভেনশন গ্রহণ করে। সেই অনুযায়ী ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। কাজেই ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণার সুযোগ আমাদের সামনে রয়েছে। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দিনের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করে এবং দিনের অন্যান্য কর্মসূচি স্থগিত রেখে কার্যপ্রণালী বিধি-১৪৭ অনুযায়ী প্রস্তাবটি উত্থাপনের জন্য শিরীন আখতারের প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর শিরীন আখতার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হউক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হউক।’ এরপর আলোচনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সংসদের কয়েকটি প্রজেক্টরে ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখান।