২০১৬ এ এইচএসসিতে আরো ৬ বিষয় সৃজনশীলে

 

স্টাফ রিপোর্টার:২০১৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় আরো ছয় বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে। ওই বছর আলিমে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে চার বিষয়ে।এছাড়া ২০১৬ সালের দাখিলের পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের প্রশ্নও সৃজনশীলে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।অন্যদিকে ২০১৭ সালের এইচএসসিতে আরো নয় বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নে পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের।শিক্ষামন্ত্রীনুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সভায় এসব সিদ্ধান্তহয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।২০১৬সালের এইচএসসিতে অর্থনীতি, যুক্তিবিদ্যা, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন এবং ভূগোল বিষয়েসৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে।২০১৬ সালের আলীম পরীক্ষায় অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের প্রশ্ন হবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে।
বিজ্ঞপ্তিতেবলা হয়, ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃষি শিক্ষা, পরিসংখ্যান, মনোবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, শিশুর বিকাশ, খাদ্য ও পুষ্টি, গৃহব্যবস্থাপনা ওপারিবারিক জীবন, শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছেদ এবং ইসলামী শিক্ষা বিষয়েসৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে।এইচএসসিতে চলতি বছর ১২টি ও আলীমে তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নেহয়েছে। আর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২৯টি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষাহয়েছে।সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ার পাশাপাশি নকলের প্রবণতা কমে যাচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।পাসেরহার বাড়ার পেছনে এই সৃজনশীল পদ্ধতি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে বলেশিক্ষামন্ত্রীও বার বার বলে আসছেন। তবে গণিতসহ কয়েকটি বিষয়ে সৃজনশীলপ্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা সমালোচনা রয়েছে।এইচএসসিতে ২০১২ সাল থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হয়।অষ্টমশ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেএসসিতে গত বছর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ওদ্বিতীয় পত্র এবং গণিত ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।জেএসসির গণিতেও ৬০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে।অন্যদিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ২০১৪ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৩৫ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক (সৃজনশীল) প্রশ্ন থাকবে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা পরিবারের সবাইকে যুগোপযোগী সৃজনশীল চিন্তা-চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
গত সাড়ে পাঁচ বছরে শিক্ষাখাতের অগ্রগতিতে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের দক্ষতায় গড়ে তুলতে হবে।শিক্ষাসচিবমোহাম্মদ সাদিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপকফাহিমা খাতুন, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ওপাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও বিভিন্ন বোর্ড চেয়ারম্যানরা এই সভায়উপস্থিত ছিলেন।