২য় শ্রেণির স্কুলছাত্র নিহত : আহত ৪

 

আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গায় বেপরোয়া গতিতে আলমসাধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নিমতলা গ্রামের নানা বাড়ি থেকে চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ীস্থ বাড়িতে ফেরার পথে বেপরোয়া গতির আলমসাধু উল্টে ২য় শ্রেণির স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শিশুসহ ৪ জন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্বার করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হিজলগাড়ী বাজারপাড়ার ফকিরের ছেলে স্থানীয় স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র হেলাল (৮) ও তার ফুফু মহিমা (২৮) হেলালের নানা বাড়ি আলমডাঙ্গার নিমতলা গ্রাম থেকে নিজ বাড়ি হিজলগাড়ী গ্রামে ফেরার জন্য আলমসাধুতে ওঠে। এ সময় আলমসাধুটি গাংনী মুন্সিগঞ্জ সড়কের নতিডাঙ্গা মধুখালী মাঠে এলে বেপরোয়া গতিতে আসা আলমসাধুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের মাঠের মধ্যে উল্টে যায়। আলমসাধুর পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে স্কুলছাত্র হেলাল নিহত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় হেলালের ফুফু মহিমা (২৮), আলমসাধু আরোহী মাদারহুদা গ্রামের মজিতের স্ত্রী ফাতেমা (৩০), তার শিশুকন্যা মিম্মা (৮) ও শিশুপুত্র বাসারকে(৫) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। মৃত হেলালসহ আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ সনাতনপুর বাজারের একটি ক্লিনিকে নিলে ডাক্তার হেলালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। লাশ ক্লিনিকের সামনে পড়ে থাকে। এ সময় আলমসাধুচালক পালিয়ে নতিডাঙ্গা গ্রামে গেলে তাকে গ্রামবাসী আটক করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেয়ে। আলমসাধুচালক গাংনী বাজারের কাশেমের ছেলে মিলনকে (১৫) মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ তাকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নেন। মোবাইলফোনে হেলালের মৃত্যুর খবর পেয়ে পিতাসহ নিকট আত্মীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তাদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই মকবুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্বার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। মৃত্য হেলালের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করতে না চাইলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হেলালের নিকটাত্মীয়দের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয় এবং আটক আলমসাধু চালক মিলনকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।