১৯ ঘণ্টা পর খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বিদ্যুত

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর পুনরায় সংযোগ দিয়েছে ডেসকো। গতকাল শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত টিভি ক্যাবল, টিঅ্যান্ডটি ফোন লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো। মোবাইলফোন নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক ছিলো না। শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ওই কার্যালয়ের বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর দেড় ঘণ্টা অন্ধকারে কাটান বেগম জিয়া। রাত চারটা থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে কার্যালয়ে বিদ্যুত্ সংযোগ দেয়া হয়। গতকাল রাতে জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৯০ মিনিট মোমবাতি জালিয়ে অফিস করেন খালেদা জিয়া। মোমের আলোতে বৈঠক করেন সাথে। এ অন্ধকারময় পরিস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মীরা রাতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে সেখান থেকে ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
রাত সোয়া দশটায় ডেসকোর ছয়জন কর্মী এসে পিলার থেকে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার কাজ শুরু করেন। তাদের এক কর্মী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এ লাইনটি মেরামত করতে বলা হয়েছে। তাই করলাম। আর কোনো কথার জবাব দিতে মানা আছে। নিজেদের নাম কিংবা পদবি বলতেও রাজি হননি বিদ্যুত বিতরণ সংস্থার এ কর্মীরা। তাদের কয়েক মিনিটের কাজে রাত সাড়ে ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় আবার আলোকিত হয়, যা রাত ৮টার পর থেকে ছিলো অন্ধকার।
কার্যালয়ের ভেতরে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে অবস্থান করছেন- সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তাদের ২ মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাদলের সদস্য ও কার্যালয়ের কর্মচারীরা। এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের বিদ্যুত, ইন্টারনেট, টিভির কেবল লাইন ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।