১৮ দলীয় জোটের আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তিসহ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে। ১৮ দলীয় জোটের আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশগুলোতে বক্তারা অভিন্নভাষায় ১৮ দলীয় নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তিসহ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের জোর দাবি জানিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে সকলকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি, বিএনপির একাংশ, মনোনয়ন প্রত্যাশী দুজনের সমর্থকরা যেমন বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে তেমনই দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গাতেও বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির মিছিলটি শহীদ হাসান চত্বরে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেও কৌশলে অতিক্রম করে কোর্টমোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে সমাবেশে মিলিত হয়। লে. কর্নেল কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে শহীদ হাসান চত্বরে পৌঁছায়। সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলটি কোর্টমোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। জেলা বিএনপি একাংশের বিক্ষোভ মিছিলটিও পুলিশি বাধায় আটকে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে সমাবেশে মিলিত হয়। এ অংশের নেতৃত্বাধীন স্বেচ্ছাসেবকদল পৃথক ব্যানারে মিছিল করে। দলীয় কার্যালয়ে কৃষকদল নেতা হাজি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের মুক্তির দাবি জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহীদ হাসান চত্বরে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে কোর্ট মোড় প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় অফিসের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক বাহক বেগম খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আ.স.ম আব্দুর রউফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকাররম হোসেন। উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন, যুবদল নেতা আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, ইমরুল হাসান জোয়ার্দ্দার মুকুল, মকলেছুজ্জামান মকলেছ, ফারুক মল্লিক, মামুন রেজা সবুজ, আরিফুজ্জামান পিন্টু, গোলাম কিবরিয়া তিস্তা, শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা ওলামা দলের সভাপতি ফজলুর রহমান, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি সুশীল কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন অধিকারী, অ্যাড. বদিউজ্জামান, অ্যাড. আনছার আলী, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য এমএ তালহা, যুগ্মআহ্বায়ক রাজীব খান, সদ্য কারামুক্ত মঞ্জুরুল জাহিদ, সুজন মালিক, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মাহবুবর রহমান খোকন, রবিউল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, সাহাদত হোসেন মাস্টার, নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, আইনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান হীরা, আতিয়ার রহমান লিটন, মহিউদ্দিন, মীর লিয়াকত আলী, আসলাম উদ্দিন, পৌর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বাদশা শেখ, আবুল বাশার, মহিদুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, শ্রমিক নেতা শহিদ হোসেন লাড্ডু, বাবুল হোসেন, আসান আলী প্রমুখ।

অপরদিকে বিএনপির একাংশ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোটের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,  বিক্ষোভ মিছিলটি বিকেল ৪টার দিকে কোর্টমোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কোর্ট মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহসভাপতি সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এমএম শাহাজাহান মুকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হালিম হিরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম বকুল, যুগ্মসম্পাদক মাহামুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আশাদুজ্জামান, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আবু আলা সামছুজ্জামান, আইন বিয়ষক সম্পাদক অ্যাড. হেদায়েত হোসেন আসলাম, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুর রউফ, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ মোল্লা, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লা জোয়া. ছটি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, পৌর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসেন, জেলা তৃণমূল দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, জেলা তরুণ দলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার।

চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপির কামরুজ্জামান সমর্থকরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পান্না সিনেমা হল সড়কস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি নেতা লে. কর্ণেল (অব) সৈয়দ কামরুজ্জামান। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশে করে। জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল ওহাব মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রদান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ কামরুজ্জামান বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে না। বিরোধীদলের প্রতি যতো দমনপীড়ন চালাবেন আন্দোলন ততো তীব্র হবে। কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকার গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা পদত্যাগের পর সংবিধান লঙ্ঘন করে দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানকেও কলঙ্কিত করছে। তাই তাদের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।

অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়ে সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা আগামী নির্বাচন অবাধ, নিরপক্ষে ও সুষ্ঠু করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেয়ারও দাবি জানান। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম হাসান হাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলি হোসেন, সহপ্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম মুকুট, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুর জব্বার সোনা, সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মহাসিন আলী বিশ্বাস, জেলা যুবদল নেতা মফিজুর রহমান মনা, সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, মনিরুজ্জামান লিপটন ও তানজিল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আলমগীর কবির, শহর আলী, জাহিদ টিপু, মহিলাদল নেত্রী মমতাজ বেগম সন্ধ্যা, দোলেজান নেছা ডলি, এলিজা বেগম, জয়নাল, মিলন, লাল্টু, ইকরামুল, মালেক, রিঙ্কু, জসিম, রুবেল, ছোটন, রতন, ইমরান, রেজাউল, বাবলু, শাহ আলম, মওলা, শফি, ইমদাদ, রনি, দিপু, জালাল, বিডিআর লিয়াকত, সাইদুর, রাজ্জাক ও দিলু। বক্তারা অবিলম্বে বিএনপি শীর্ষ ৫ নেতার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল আলমডাঙ্গায় ১৮ দল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিকেলে বিএনপি নেতা পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দীনের নেতৃত্বে ১৮ দলের নেতৃবৃন্দের বিক্ষোভ মিছিল আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ শেষে আলমডাঙ্গা পৌরসভা চত্বরে সমাবেশ করে। উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি একাংশের সহসভাপতি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন লাড্ডু, জামায়াতে ইসলামী উপজেলা পশ্চিম অঞ্চলের আমির ডা. আহমেদ জালাল, পৌর আমির মীর আব্দুল জলিল, পৌর নায়েবে আমর নজরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম রোকন, মিনহাজ উদ্দিন বিশ্বাস, ইউসুফ আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, জুলফিক্কার আলী। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ইলিয়াস আহমেদ সিদ্দিকী, মীর ইসমাইল হোসেন, আইয়ুব হোসেন, মোশারফ হোসেন, কামরুজ্জামান বকুল, হাসিবুল হক, সাবেক কমিশনার আব্দুর রাজ্জাক, কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, রফিকুল মেম্বার, নাসির উদ্দিন, মহাবুল, বিল্লাল, ইকদুল, বিল্লাল, আব্দুল খালেক, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি হাসান প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি ব্রিজমোড় থেকে শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ড ঘুরে ব্রিজমোড়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে ১৮ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী শাহ, থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারি মাও. আ. গফুর, দামুড়হুদা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকররম হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান টুনু, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি ইউনুচ আলী শেখ, হাউলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ. ওয়াহেদ, বিএনপি নেতা রবিউল হোসেন শুকলাল, ইসমাইল হোসেন, একরামুল মেম্বার, আব্দুল গনি, ইছাহক আলী, আলেফ খা, জামায়াত নেতা আবুল বাসার, ডা. আশরাফুল হক, ইকতিয়ার রহমান, যুবদল নেতা প্রভাষক আবুল হাশেম, আব্দুর রহিম, মন্টু মিয়া, শামসুল, তোতাম, স্বজল, ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান মিল্টন, আরিফুল ইসলাম আরিফ, তাজ আলম, সাজু, আরিফ, দেলোয়ার, রানা, নুর সালাম, মানিক, বাবু, প্রমুখ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় ব্রিজরোডের আড়তপট্টি থেকে ১৮ দলের সংগ্রাম কমিটির উপজেলা আহ্বায়ক লিয়াকত আলী শাহ’র নেতৃত্বে  বিক্ষোভ মিছিলটি শহীদ মিনার অতিক্রম করে আড়তপট্টিতে  ফিরে সংক্ষিত সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী শাহ, যুগ্মআহ্বায়ক আবুল কাশেম, তোফাজ্জেল হোসেন, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন, সেক্রেটারি রফিকুল হাসান তনু, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান টুনু, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দামুড়হুদা উপজেলা আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারি মাও. আব্দুল গফুর, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আমির চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টন, সেক্রেটারি মনিরুল আলম মুকুল, হাউলী ইউনিয়ন আমির নজরুল ইসলাম, সাবেক থানা আমির মাও. আব্দুস সাত্তার, দামুড়হুদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল রহমান মালিতা, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি একরামুল হক, বিএনপির  নেতা  রবিউল হোসেন শুকলাশ। উপস্থিত ছিলো একরামুল মেম্বার, ছাত্রদলের  মিন্টুন, আরিফ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেশের শীর্ষ নেতাদের আটক রেখে পাতানো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। সেইসাথে বিএনপি কেন্দ্র নেতাদের গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শনিবার বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়াবাজার থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফটকসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাবেক সংসদ সদস্য এমএ ওহাব। মিছিল শেষে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপি সমাবেশ করে দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়কের দু পাশে শ শ যানবাহন আটকা পড়ে। বিএনপি নেতা তোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বিএনপি নেতা ওয়ালিদ হাসান পিকুল, রফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ, আব্দুল লতিফ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি নায়েব আলী, ছাত্রদল নেতা আবু জাহিদ চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ আমিরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান খান দিপু ও পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ আটক দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের মুক্তি দেয়া না হলে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক সংসদ সদস্য এমএ ওহাব বলেন, সরকার ১৮ দলকে বাইরে রেখেই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কোনো কারণ ছাড়াই জেলে নিয়ে রিমান্ড দিচ্ছে। এ ধরনের চক্রান্ত যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে বলে বক্তারা হুঁসিয়ারী উচ্চারণ করেন।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপি সভাপতি সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার মামলা হামলার মাধ্যমে জোরপূর্বক ক্ষমতা আকড়ে রয়েছে। তবে ১৮ দলীয় জোটের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তারা ভিত হয়ে পড়েছে। তাই কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আন্দোলন দমাতে চাচ্ছে। বিনা কারণে প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চলছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধার করতে হবে। এ সংগ্রাম ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার সংগ্রাম। এ সংগ্রাম এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম। এজন্য ১৮ দলীয় জোটের যেকোনো সংগ্রাম কর্মসূচিতে নেতাকর্মী সমর্থকদের জীবনপণ বাজি রেখে অংশ গ্রহণ করার আহ্বান জানান এমপি আমজাদ হোসেন। গতকাল শনিবার বিকেলে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গাড়াডোব কাচারিবাজারে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তাদের মুক্তি দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাংনী উপজেলা বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশের আগে আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা গাড়াডোব কাচারিবাজার থেকে মিলবাজার পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আখেরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হোসেনের সঞ্চালনায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, পৌর জামায়াতের আমির আব্দুর রহমান ও পৌর বিএনপি যুগ্মসম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলাসহ নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সু, যুগ্মসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বুলবুল, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আক্তার মাস্টার, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাহজাহান সেলিম, কাথুলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক জাফর আকবর, ছাত্রদল নেতা রবি, কামরুল ইসলাম ও সুজন কবিরসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মী সমর্থকরা মিছিল সহকারে এসে কাচারিবাজারে জড়ো হয়।

দৌলতপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি দৌলতপুর থানাবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন (মুসা কামাল), যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রভাষক জাকির হোসেন, মাস্টার আরিফুল ইসলাম নান্নু, রবিউল ইসলাম, সানাউল্লাহ সেন্টু, গোলাম মুস্তাফা প্রমুখ।

ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের ওয়াজির আলী হাই স্কুলমাঠ থেকে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে কেপিবসু সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান, আব্দুল মালেক, জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস,আবু বক্কার, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ। সমাবেশে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা মসিউর রহমান বলেন, মামলা আর গণগ্রেফতার করে শেখ হাসিনা তার গদি রক্ষা করতে পারবেন না। তিনি বিএনপি নেতাদের রিমান্ডে নেয়ার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আ.লীগ ছাড়া দেশের সবাই নির্দলীয় সরকার চায়।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছেন, জীবননগরে উপজেলা বিএনপি, বিএনপি একাংশ নোয়াব আলী গ্রুপ, জামায়াত-শিবির, পৌর বিএনপি ও টিপু তরফদার গ্রুপ একক এবং পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বিকেলে শাপলাকলি স্কুল ক্যাম্পাস থেকে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হাসান খান বাবুর নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি একাংশ পৌরমেয়র নোয়াব আলীর নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি একাংশ ও জামায়াত-শিবির নোয়াব আলীর দলীয় কার্যালয় থেকে এবং সাহজাহান কবীর, মাহতাব উদ্দিন ও আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে পৌর বিএনপি (হাজি মোজাম্মেল হক গ্রুপ) ও টিপু তরফদার গ্রুপ আখ সেন্টার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ইউএনও প্রথমশ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদুর রহমানের উপস্থিতিতে ও ওসি আব্দুর রকিব খাঁনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ শহরে মোতায়েন ছিলো।

বিকেলে শাপলাকলি স্কুল ক্যাম্পাস থেকে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হাসান খান বাবু, জীবননগর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আক্তারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে থানা মোড়ে সমাবেশ করে। উপজেলা বিএনপি সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুবদল নেতা মাহমুদ হাসান খান বাবু প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জীবননগর উপজেলা বিএনপি একাংশ সভাপতি পৌর মেয়র নোয়াব আলীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা সড়কস্থ নোয়াব আলীর দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সামবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা পৌর মেয়র নোয়াব আলী। বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার সহসেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, পৌর আমির মাও. সাজেদুর রহমান, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার রিনি, পৌর বিএনপি সভাপতি মশিউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আনিছুর রহমান শিপলু প্রমুখ।

জীবননগর পৌর বিএনপি (হাজি মো. মোজাম্মেল হক) সভাপতি সাহাজাহান কবীর, সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন ও বিএনপি অহিদুল-টিপু তরফদার গ্রুপের নেতা আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি আখ সেন্টার সংলগ্ন পৌর বিএনপি কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে আখ সেন্টারে সমাবেশে করে। পৌর বিএনপি সভাপতি সাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সহসভাপতি সাইদুর রহমান ধুন্দু, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, অহিদুল-টিপু তরফদার গ্রুপ নেতা আব্দুল খালেক, সাবদার রহমান প্রমুখ।

বাড়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন,  সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মেহেরপুর বিএনপি। বাড়াদীবাজার প্রাঙ্গণে মিছিলপূর্বক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন এমপি, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দিন বিশ্বাস, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদুল্লাহ সেন্টু, শ্রমিকদলের জেলা আহ্বায়ক আহসান হাবীব সোনা, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আব্দুর রব মাস্টার, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি আরজুল্লাহ মাস্টার বাবলু, সহসভাপতি আবু সুফিয়ান হাবু, বিএনপি নেতা আবুল হাসেম, মো. সাহান আলী, আলিহিম মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক তোফায়েল আহম্মেদ, ছাত্রদল নেতা আহমেদ রাজিব খান, সোহেল হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক জুলফিকার আলী হেলাল প্রমুখ।  সমাবেশে মাসুদ অরুন বলেন, একটি নিদর্লীয় নির্বাচনের দাবিতে জনগণের সংগ্রামকে বিভ্রান্ত করতে সরকার অপপ্রচার চালাচ্ছে। একদিকে সমঝোতার কথা বলে সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৮দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, পুলিশি হয়রানি, মিথ্যা মামলাসহ গণতান্ত্রিক সভা সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করছে। সরকার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় পরিকল্পিত সাজা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সমাবেশে আমজাদ হোসেন এমপি বলেন, নিদর্লীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, একদলীয় নির্বাচন রুখতে হবে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শাহাজীপাড়াস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। গতকাল বিকেলে সমাবেশে বিএনপি নেতা আনোয়ারুল হক কালুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, অ্যাড. মোখলেছুর রহমান স্বপন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বড়বাবু, সদর থানা যুবদলের সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপন, সহসভাপতি নূর তাজুল, যুগ্মসম্পাদক জাহিদ খান, পৌর যুবদলের সহসভাপতি আনিছুর রহমান লাবলু, যুগ্মসম্পাদক সামছুল আযম লিন্টু, জেলা তারেক পরিষদের আহ্বায়ক রাশেকুল ইসলাম রাশু, যুবদল নেতা একরামুল হক একা, শাহীন খান, মোহাব্বত হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মোস্তাকিম, সহসভাপতি মীর আলমগীর ইসলাম আলম প্রমুখ।

ডাকবাংলা প্রতিনিধি আরও জানিয়েছে, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতুবৃন্দ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, হামলা, মামলা, গ্রেফতার নির্যাতন করে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।  জুলুম নির্যাতনের মাত্রা যতই বাড়বে আন্দোলন ততই বেগবান হবে। বক্তারা আরো বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি না দিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।