১১৬ আরোহী নিয়ে আলজেরীয় বিমান বিধ্বস্ত

 

উড্ডয়নের ৫০ মিনিট পর থেকে কন্ট্রোল টায়ারেরাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পিছুছাড়াইছেই না বিমানযাত্রীদের দুর্ভাগ্য। এক সপ্তাহেই মালয়েশীয় ও তাইওয়ানবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এবার দুর্ঘটনার কবলে পড়লো আলজেরীয় বিমান। ১১৬ আরোহীনিয়ে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এয়ার আলজেরির একটি ফ্লাইটবৃহস্পতিবার নাইজারে বিধ্বস্ত হয়। আরোহীদের সবাই মারা গেছেন বলেই ধারণা করাহচ্ছে।

১১০ যাত্রী ও ৬ ক্রু নিয়ে পশ্চিম মধ্য আফ্রিকার দেশ বুর্কিনাফাসোর রাজধানী ওয়াগাদৌগৌ থেকে এয়ার আলজেরির এএইচ ৫০১৭ ফ্লাইটটি আলজেরিয়াররাজধানী আলজিয়ার্স যাচ্ছিলো। উড্ডয়নের ৫০ মিনিট পর থেকে কন্ট্রোল টাউয়ারেরসাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এর। এর বেশ কিছুক্ষণ পর এটি নাইজারেসাহারা মরুভূমিতে আছড়ে পড়ে বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে।

আলজেরিয়া ওফ্রান্সের গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি, এএফপি, রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ফ্রান্সের ৫১ নাগরিক, বারকিনাবের ২৪, লেবাননের ১০, আলজেরিয়ার ৪, লুক্সেমবার্গের ২ জন এবং বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ইউক্রেন ও রোমানিয়ার একজন করে নাগরিকছিলেন। বাকিদের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। স্পেনের বেসরকারি বিমানপরিবহন সংস্থা সুইফটএয়ারের কাছ থেকে ভাড়া করা হয়েছিলো বিমানটি। সুইফটএয়ারেরওয়েবসাইটে দেয়া বার্তায় বলা হয়, এয়ার আলজেরির বিমানটি বুরকিনা ফাসো থেকেযাত্রা শুরু করে স্থানীয় সময় রাত ১টা ১৭ মিনিটে। ভোর ৫টা ১০ মিনিটেআলজেরিয়ায় পৌঁছার কথা ছিলো।

আলজেরিয়ার মুখপাত্র হউরি জাহির জানান, উড্ডয়নের ৫০ মিনিট পর থেকেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষথেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিমানটির পাইলটের সাথে সর্বশেষ যেযোগাযোগ হয়েছিলো, তাতে পাইলট দিক পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়েছিলেন। এক সূত্রদাবি করে, আলজিয়ার্স-বামাকো রুটে চলাচলকারী বিপরীত দিক থেকে আসা একটিউড়োজাহাজের সাথে সংঘর্ষের ঝুঁকি এড়াতে এএইচ৫০১৭ এর পাইলটকে নির্দেশনাদেয়ার সময় উড়োজাহাজটির গন্তব্য আলজেরিয়া সীমান্তের খুব বেশি দূরে ছিলো না।অর্থাৎ রুট পরিবর্তন করার পরই উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরবিধ্বস্ত হওয়ার খবর আসে।আর বিধ্বস্ত হওয়ার পর আলজেরিয়ার বেসামরিক বিমানপরিবহনমন্ত্রী দাবি করেন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেই উড়োজাহাজটিরপাইলটকে কন্ট্রোল রুম থেকে রুট পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছিলো।

চার মাসআগে, ৮ মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ ২৩৯ যাত্রীনিয়ে মাঝ আকাশে উধাও হয়ে যায়। ব্যাপক আন্তর্জাতিক চেষ্টার পরও বিমানটিরকোনো হদিস এখনও পাওয়া যায়নি। ১৭ জুলাই মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের আরেকটি বিমানক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করে ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এতে২৯৮ আরোহীর সবাই নিহত হন। আর বুধবার তাইওয়ানের পেঙ্গু দ্বীপে ট্রান্সএশিয়া এয়ারওয়েজের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ৪৭ জন।বিমানটিতে ৫৮ আরোহী ছিলেন।