১০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে মারা গেছেন মুজিবনগরের অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ মেহেরুন্নেছা

 

মেহেরপুর অফিস: ১০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে হেরে গেলেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ দু সন্তানের জননী মেহেরুন্নেছা (৩২)। গতকাল রোববার বেলা ২টার দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে শ্বশুর-শাশুড়ি ও দু ননদের অত্যাচার নির্যাতনে তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিতে নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন কেউ কেউ। তবে নিহত মেহেরুন্নেছার অভিভাবকরা দাবি করছেন তার শরীরে আগুন লাগিয়ে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের নূর বক্সের মেয়ে মেহেরুন্নেসার সাথে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর গ্রামের ইজারুল হকের ছেলে আজিজুল হকের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ঘরে রয়েছে দু সন্তান। গত ৫ বছর আগে স্বামী আজিজুল হক পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পাড়ি জমান মালয়েশিয়া। এর কিছুদিন পর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ি ও দু ননদের সাথে গৃহবধূ মেহেরুন্নেছার মনোমালিন্য শুরু হয়। পরে তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এর একপর্যায়ে গত ২০ নভেম্বর মেহেরুন্নেছাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তার মৃত্যু হয়।

এদিকে তার মৃত্যুর পরে অভিভাবকরা দাবি করেছেন, মেহেরুন্নেছার শরিরে আগুন লাগিয়ে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছিলো এবং এতেই তার জীবন প্রদীপ নিভে গেছে। অপরদিকে তার শ্বশুরপক্ষ বলেছে, সে তার নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো।