১০ টাকার অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য ২০০ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার: দশ টাকার ব্যাংক হিসাবধারী কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষদেরসহজ শর্তে ঋণ দিতে ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঅর্র্থায়ন তহবিল চালু করেছেবাংলাদেশ ব্যাংক।বুধবার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, এ তহবিল থেকে একজন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণনিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ১২ আর এনজিওগুলো সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ হারসুদে এ ঋণ দিতে পারবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘ক্ষুদ্র, প্রান্তিকও ভূমিহীন কৃষকরা এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন। যেসব কৃষকের নিজ নামেসর্বোচ্চ ২ দশমিক ৪৭ একর জমি রয়েছে তারা এ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হবেন না।আর পাড়া, মহল্লা বা গ্রামে মুদি দোকানদার থেকে শুরু করে যে কোনো ক্ষুদ্রব্যবসায়ীকেও এ তহবিল থেকে ঋণ দেয়া যাবে।’ এতে আরো বলা হয়েছে, ঋণ খেলাপি কেউ এঋণ পাবে না। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরঅন্য কোনো পুনঅর্র্থায়ন তহবিলের আওতায় ঋণ নিয়ে থাকলে কিংবা সরকারের সুদক্ষতিপূরণ সুবিধার আওতায় রেয়াতি সুদে ঋণ সুবিধা নিয়ে থাকলে এ তহবিল থেকেঋণ নেয়া যাবে না।সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি সুদে কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তিও এ তহবিলের ঋণ পাবেন না।এতহবিল থেকে দেয়া ঋণের সুদের হার প্রসঙ্গে সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থনিয়ে সরাসরি বা এনজিওর মাধ্যমে এ ঋণ বিতরণ করতে পারবে।‘ব্যাংকগুলোসরাসরি যেসব ঋণ দেবে সেখানে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ শতাংশ। আর এনজিওরমাধ্যমে দেয়া ঋণে সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ সুদ নেয়া যাবে। আর ঋণ আদায় শেষেকেন্দ্রীয় ব্যাংক সাড়ে ৩ শতাংশ হারে সুদ ভর্তুকি দেবে। এ ধরনের ঋণেরমেয়াদকাল হবে সর্বোচ্চ এক বছর।’কোনো ঋণ গ্রহীতা নির্ধারিত সময়ে ঋণপরিশোধ না করলে তার পুনঅর্র্থায়ন সুবিধা বাতিল করে ব্যাংক ও এনজিওনির্ধারিত হারে সুদ আরোপ করা যাবে। তবে কোনো অবস্থাতে খেলাপি গ্রহীতার কাছথেকে বিতরণ করা ঋণের দ্বিগুণ আদায় করা যাবে না।বিতরণের আগে ঋণের সদ্ব্যবহার, আদায়সহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নিশ্চিত হতে হবে।বর্তমানে ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব রয়েছে এক কোটির বেশি, যাদের মধ্যে কৃষকই রয়েছে ৯৬ লাখের বেশি।