হাশেম রেজার কাছে চাঁদা দাবি : মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক জননেতা হাশেম রেজার কাছে দু লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগে দামুড়হুদা মডেল থানায় সেলিম উদ্দীনসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলাও করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে রাজনীতি কিংবা নির্বাচন কোনটাই করতে দেয়া হবে না জানিয়ে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হাশেম রেজার পক্ষে রোবাবার দুপুরে দামুড়হুদা থানায় একজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৭-৮ কে আসামি করে একটি চাদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন দর্শনা পৌর এলাকার ঘুঘুডাঙ্গার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে সেলিম উদ্দীন কয়েকজন সহযোগীসহ ৩রা ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে হাশেম রেজা তার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছির বাড়িতে অবস্থান করাকালে সেখানে যায়। এরপর তারা হাশেম রেজার কাছে বলে আপনি রাজনীতি আর নির্বাচন করবেন তাই আমাদেরকে ২ লাখ টাকা দেবেন। আপনার কেউ কোনো সমস্যা করবে না, না হলে আপনার সমস্যা হবে। তখন হাশেম রেজা বলেন, এখন যাও কালকে দিনের বেলা কথা হবে। পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে হাশেম রেজার ব্যক্তিগত ড্রাইভার মাহবুব রহমান কয়েকজনকে সাথে নিয়ে দর্শনার অগ্রণী ব্যাংকে যান। এ সময় দর্শনার ঝিনাইদহ লাইন বাস কাউন্টারের সামনে গাড়ি রাখার জন্য থামলে উক্ত সেলিম তার কয়েকজন সহযোগীসহ তাদের পথরোধ করে হাশেম রেজাকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে জিল্লুর রহমান মধু ও ড্রাইভার মাহবুব রহমানের কাছে টাকা চায়। তারা অপারগতা প্রকাশ করলে সেলিম উদ্দীন তাদেরকে বলে তোরা হাশেম রেজাকে বলিস, আমাকে ২ লাখ টাকা না দিলে আমরা তাকে রাজনীতি, নির্বাচন কোনটায় করতে দেব না। এ বিষয় নিয়ে এদিক-সেদিক করলে হাশেম রেজাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এরপর জিল্লুর রহমান মধু এ বিষয়টি হাশেম রেজাকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি মোবাইল ফোনে উক্ত সেলিমকে ফোন করে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেলিম উদ্দীন একইভাবে হাশেম রেজাকে হুমকি দিয়ে বলে টাকা দাও নইলে নির্বাচনতো করতেই পারবানা, প্রাণটাও যাবে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আকরাম হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।