হারদী এলাকার বোমাবাজ মহির গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মোহাম্মদপুরের মহির। তাকে ইটভাটা শ্রমিক সুজন মৃধাকে গুলি করে খুনমামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের আবুল মণ্ডলের ছেলে মহির (৩৮)। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ২০০৯ সালে চাঁদাবাজি ও বোমা বিস্ফোরণের পৃথক ২টি মামলা রয়েছে। এদিকে, গত ২৯ জানুয়ারি কুমারী গ্রামের এনআরবি ইটভাটার শ্রমিক পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর শাহাপুর গ্রামের সুজন মৃধাকে গুলি করে খুন করা হয়। এ ঘটনার সাথেও মহির জড়িত। পুলিশ এ তথ্য দিয়ে বলেছে, মহিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এলাকার চাঁদাবাজ গ্যাঙের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। বোমাসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হতে পারে।

জানা গেছে, দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে একদল সন্ত্রাসী গত ৩০ জানুয়ারি আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে ইটভাটায় হামলা চালায়। ভাটার শ্রমিক সুজনকে গুলি করে খুন করে। একই সময়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে ভাটার ট্রাক্টরচালক দর্শনার আব্দুল লতিফকে। তিনি ২টি গুলিবিদ্ধ হয়েও পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। আরো ৫ জন শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় মহির জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ ঘটনার পর থেকে মহিরকে খুঁজছিলো। গত বৃহস্পতিবার রাতে সে গ্রামের রাস্তায় বসে তাস খেলছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ইটভাটার শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। তবে জনযুদ্ধের নেতা মিরপুরের ঝুটিয়াডাঙ্গার এনামুলের সাথে তার যোগাযোগ থাকতে পারে বলে পুলিশ ইতোমধ্যে তথ্য পেয়েছে।

গতকাল শুক্রবার পুলিশ তাকে ইটভাটার শ্রমিক সুজন হত্যা মামলার আসামি করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে।