হাত ও পা মুজা না পরায় মাদরাসা ছাত্রীকে চ্যালাকাঠ দিয়ে পিটিয়েছে শিক্ষক

 

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ জান্নাতুল মাওয়া আদর্শ মহিলা মাদরাসার অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: হাতে ও পায়ে মুজা না পরার কারণে মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী মানুন খাতুনকে চ্যালাকাঠ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছেন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ জান্নাতুল মাওয়া আদর্শ মহিলা মাদরাসার অভিযুক্ত শিক্ষক খালিদ সাইফুল্লাহর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।

গত মঙ্গলবার মাদরাসা চলাকালে মাদরাসা প্রাঙ্গণে মারপিট করা হয়। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন শিক্ষক কিছু ওষুধ কিনে ওই ছাত্রীর বাড়ি পাঠালে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনার বর্ণনা শুনে সচেতন অভিভাবকমহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও কেউ কেউ শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে তার কৃতকর্মকে ধর্মীয় অনুশাসন বলে মন্তব্য করে।  

স্থানীয়রা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, মুন্সিগঞ্জের অদূরবর্তী সোনাতনপুর গ্রামের বকতিয়ার আলীর মেয়ে মানুন খাতুন অন্যদিনের মতো মঙ্গলবারেও বোরকা পরে মাদরাসায় যায়। শিক্ষক মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ ছাত্রী মানুন খাতুনকে ডেকে বলেন, হাত ও পায়ে মুজা নেই কেন? বাড়ি থেকে পরে আসো। মানুন খাতুন কিছুক্ষণ পর মাদরাসায় একই পোষাকে ফেরে। শিক্ষক রান্না করা চ্যালাকাঠ দিয়ে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মানুন খাতুনকে বেদম প্রহর করতে থাকেন। মেরে গুরুতর আহত করে বাড়ি পাঠালেও মানুন বাড়ি তেমন কিছুই বলেনি। অসুস্থতায় কাতরাতে শুরু করে। পরদিন শিক্ষক কিছু ওষুধ কিনে ছাত্রী মানুন খাতুনের নিকট পাঠালে বাড়ির লোকজন প্রশ্ন তোলে, শিক্ষক কেনো ওষুধ পাঠালো? মানুন খাতুন মুখ বিস্তারিত জানালে পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে পড়েন। তারা মাদরাসার অন্য ছাত্রীদের নিকট থেকেও ঘটনার বর্ণনা শোনেন। বিষয়টি জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিরালাল জানার পর তিনি বলেন, শিক্ষক গুরুতর অন্যায় করেছেন। অবশ্যই তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। তাছাড়া এই ছাত্রীর লেখাপড়ার ভার আমি নিয়েছি।

অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছাত্রীকে হাত ও পা মুজা না পরার কারণে মারপিটের কথা স্বীকার করলেও অতিরিক্ত মারা হয়নি বলে জানান। তিনি বলেন, বোরকা পরে মাদরাসায় আসে। হাতে ও পায়ে মুজা পরতে বলার পরও তা না শোনার কারণে তাকে শাসন করা হয়েছে।