হাতে লাগা চোটের ভুল চিকিৎসায় বেহুশ মধ্যবয়সী নারী

অবশেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে সুচিকিৎসায় ফিরেছে স্বস্তি
স্টাফ রিপোর্টার: হুটকরে হোঁচটখেয়ে পড়ে হাতে লাগা চোটের চিকিৎসা নিয়ে মধ্যবয়সী শেফালী বেগম হুঁশহারিয়ে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়েছেন। বেহুশ হওয়ার পর দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ফলে সুস্থতার আশা জেগেছে। হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন রোগী শেফালী বেগমের মুখে বিস্তারিত শুনে চমকে ওঠেন। তিনি এআর হাসপাতালের দেয়া ব্যবস্থাপত্র দেখে বলেন, সর্বনাশ! হাতে চোটপাওয়া রোগীর জন্য তো এ চিকিৎসা নয়। চিকিৎসায় ভুলের কারনেই রোগীকে হুঁসপর্যন্ত হারাতে হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় মাঝেরপাড়ার মৃত গোলাম হোসেনের স্ত্রী শেফালী খাতুন গত পরশু শনিবার নিজ বাড়িতে কাজ করার সময় হোঁচটখেয়ে পড়ে হাতে আঘাত পান। হাতের যন্ত্রণার কারণে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। হাসপাতালেও পৌঁছান। এক ব্যক্তির প্ররোচনায় হাসপাতালের বদলে একই এলাকার এআর হাসপাতাল নামে বেসরকারি এক চিকিৎসা কেন্দ্রে যান। সেখানে ডা. আব্দুর রশিদ চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। ইনজেকশন দেন। দেন ব্যবস্থাপত্রও। ইনজেকশন নিয়ে ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ সেবনের পর রোগীর সুস্থতা দূরাস্ত, বেলা গড়ানোর সাথে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সন্ধ্যার পর জ্ঞান হারালে রাত ৯টার দিকে নেয়া হয় হাসপতালে। গতকাল রোববার সকালে হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন ওই রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে বিস্তারিত শোনার পর ডা. রশিদের প্রেসকিপশন দেখে অবাক হন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, চিকিৎসায় ভুলের কারণেই এমনটি হয়েছে।
রোগীর লোকজন ওই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গতকাল ডা. আব্দুর রশিদের নিকট নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। রোগীর লোকজনের এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডা. রশিদের মন্তব্য জানতে গেলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।