হাতে নাতে ধরা না পড়লে বিশ্বাসই হতো না শুভ চোর

 

স্টাফ রিপোর্টার: হাতে নাতে ধরা না পড়লে কেউ বিশ্বাসই করতেন না এজাজ আহম্মেদ শুভ মোটরসাইকেল চুরি করতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ডা. মশিউর রহমানের মোটরসাইকেল চুরির সময় শুভ (১৯) হাতে নাতে ধরা পড়ে।

এজাজ আহম্মেদ পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া মনিরামপুরের বাবুল হোসেনের ছেলে। হাতে নাতে ধরাপড়ার সময় তার নিকট থেকে নতুন কয়েকটি মোটরসাইকেলের চাবিও উদ্ধার করা হয়েছে। পিটুনির পর তাকে পুলিশে দেয়া হয়। খবর পেয়ে তারই এক আত্মীয় দ্রুত ছুটে এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার তদবির শুরু করেন। তিনি বলেন, এজাজ আহম্মেদ শুভ স্বচ্ছল সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে হলেও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে এ ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, এজাজ আহম্মেদ শুভ মেধাবী ছাত্র ছিলো। তাকে ঢাকা শ্যামলিস্থ আইডিয়াল কলেজে ভর্তি করা হয়। প্রথম বর্ষের ছাত্র। নেশাগ্রস্ততার কারণে এলাকায় রহস্যজনকভাবে চলাফেরা করতে দেখা গেলেও সে যে মোটরসাইকেল চুরি করতে পারে তা সত্যিই আমরা ভাবতে পারছি না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মোটরসাইকেল চুরি হয়। কিছুদিন আগে জরুরি ওয়ার্ড থেকে বাইসাইকেল পর্যন্ত চুরি হয়েছে। এ করণে মোটরসাইকেল রেখে সজাগ দৃষ্টি রাখি। রাত ৮টার দিকে চা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা পানের সময় দেখি আমার মোটরসাইকেলের নিকট একজন ঘুরছে। মোবাইলফোন নাড়তে নাড়তে মোটরসাইকেলের পাশে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে ঘাড়ের লক খুলে ফেললো। তখনও ভবছি দেখি না কী করে।

কিছুক্ষণের মাথায় মোটরসাইকেল বসে পকেট থেকে চাবি বের করে স্ট্রাট দিলো। তখনই পেছন থেকে ছুটে গিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলি। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরির কারণে স্থানীয়দের মধ্যে পুঞ্জিভুত হয়ে থাকা ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটতে শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি শুরু করে। কোনো রকম ওকে বাঁচিয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। সদর থানা পুলিশ তাকে থানায় নেয়।