হাতে নাতে দালাল আটক : ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালচক্রের উৎপাত বন্ধে পুলিশ-জনতার পদক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় প্রতিদিনিই প্রকাশ্যেই হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে রোগীদের প্ররোচনা করে তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে আসছিলো আরেফিন রঞ্জু নামের এক দালাল। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন সচেতন রোগী ও রোগীর লোকজনের সহযোগিতায় তাকে ধরে তাৎক্ষণিক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে সে রোগীদের সাথে প্ররোচনার কথা স্বীকার করে। আদালত তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে হাসপাতালে আর এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ না করার আদেশ দেয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের গুলশানপাড়ার রমজান আলীর ছেলে আরেফিন রঞ্জুসহ কয়েকজন হাসপাতাল সড়কে অ্যাপোল ডায়াগনস্টিক সেন্টার দিয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীনভাবেই চলছে। এ ডায়াগনস্টিকসহ বিভিন্ন ডায়গোনস্টিকে রোগী পাঠানোর জন্য বেশ কিছু চিহ্নিত যুবক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাপাতালের বহির্বিভাগে ও আন্তঃবিভাগে ঘুর ঘুর করে। গতকাল বুধবার বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে বহির্বিভাগের ২১৯ নম্বর কক্ষের সামনে ঘুর ঘুর করছিলো আরেফিন রঞ্জু। সে রোগী ও রোগীর লোকজনদের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অ্যাপোল ডায়াগনস্টিকে যাওয়ার জন্য বলতে থাকে। বিষয়টি দেখে কিছু সচেতন রোগী ও রোগীর লোকজন হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশকে জানায়। নায়েক সদরউদ্দীন ওই অভিযুক্তকে আটক করে সদর থানায় খবর দেন। সদর থানার এএসআই জামশেদ আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান।
অপরদিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারীও হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ আদালতে আলেফিন রঞ্জুকে উপস্থাপন করা হলে সে তার দোষ স্বীকার করে। উপস্থিত জনগণের সামনেই ভ্রাম্যমাণ আদালাত তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
স্থানীয়রা বলেছে, বেশ কিছু যুবক দীর্ঘদিন ধরেই সদর হাসপাতালে দালালি করে। ফলে প্ররোচিত হন গ্রাম এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সরলসোজা সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে দালাল চক্রের উৎপাত নিশ্চয় কমবে।