হাতুড়ি দিয়ে চালকের মাথার মেরে আলমসাধু ছিনতাই

ভালাইপুর থেকে ভাড়া ঠিক করে দামুড়হুদার চিৎলা-জুড়ানপুর সড়কে নিয়ে ভয়ঙ্কর রূপধারণ

স্টাফ রিপোর্টার: আম বহনের জন্য ভাড়ায় নিয়ে ভালাইপুরের মিঠুন দাসকে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে ছিনতাই করেছে তার আলমসাধু। গতকাল রোববার কয়েকজনের একদল ছিনতাইকারী ভালাইপুর মোড় থেকে আলমসাধু ভাড়া নিয়ে দামুড়হুদার চিৎলা-জুড়ানপুর সড়কে নিয়ে চালক মিঠুন দাসকে মেরে রাস্তায় ফেলে তার আলমসাধু ছিনিয়ে নেয়। মৃত প্রায় মিঠুন দাসকে গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজাশাহী মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তার ভাগ্যে কি ঘটেছে তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ভালাইপুর গ্রামের গোরস্তানপাড়ার নিতাই দাসের ছেলে মিঠুন দাস (৩০) ভাড়ায় শ্যালোইঞ্জিনচালিত আলমসাধুচালক। গতকাল আলমসাধু নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশে ভালাইপুর মোড়ে অবস্থান নেন। বেলা ১২টার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের আমব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়ে বলে, দামুড়হুদা থেকে আমের টুকরি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে আসতে হবে। মোটা অংকের ভাড়ায় মিঠুন দাসের সাথে চুক্তি হয়। কয়েক ব্যক্তি মিঠুনের আলমসাধুযোগে রওনা হয়। দামুড়হুদার চিৎলা-জুড়ানপুর সড়কের নির্জন স্থানে পৌঁছে থামতে বলে। চালক মিঠুনের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরে মাথার খুলি ভেঙে দেয়। লুটিয়ে পড়ে পথে। আলমসাধু নিয়ে সটকে পড়ে প্রতারকচক্র। রাস্তায় দীর্ঘসময় পড়ে থাকার একপর্যায়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে এক ভ্যানচালক সেখান থেকে মিঠুন দাসকে উদ্ধার করে দামুড়হুদার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথা চিৎলা হাসপাতালে নেন। চিকিৎসক দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিলে আব্দুল মোমিন নামের এক ব্যক্তি তাকে চিৎলা হাসপাতাল থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। তার বাড়িতে খবর দেন। বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। মৃত প্রায় মিঠুন দাসকে গতরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সাথে লড়ছিলো সে। এদিকে দামুড়হুদা পুলিশ আলমসাধুটি উদ্ধার করেছে বলে খবর পাওয়া গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি।