হরিণাক-ুতে ১৫ শিক্ষকের শোকজ মুচলেকা দিয়ে রক্ষা

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের ফাঁকির প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দলীয় কায়দায় নিয়োগ পাওয়ার পর এক শ্রেণির শিক্ষকরা স্কুলে আসেন না। তারা আইনের তোয়াক্কা করেন না। হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে বাজারে গল্প করেন। কেউ আবার নিজের ব্যবসা ও মাঠের কাজে স্কুল সময় পার করেন। ফলে স্কুলগুলোতে ফলাফল বিপর্যয় ঘটছে। ছাত্ররা হচ্ছে প্রাইভেট ও কোচিং মুখি। ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে এমন শুদ্ধি অভিযানের পর জেলার সরকারি প্রাইমারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে নজর দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন। তিনি শিক্ষা কর্মকর্তাদের ডেকে কড়া হুঁসিয়ারী দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে মাঠে নেমেছেন প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের লোকজন। মঙ্গলবার জেলার হরিণাক-ু উপজেলার ১৫ শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিশির বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন তদারকি ও পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি এসব বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষকের অনুপস্থিতির খবর পান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীনের নির্দেশে এ সমস্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কেনো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার সন্তোষজনক জবাব আগামী পাঁচদিনের মধ্যে জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হীরাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার এক আকস্মিক পরিদর্শনে যান জেলা শিক্ষা অফিসার মকছেদ আলী। তিনি সেখানে গিয়ে মাত্র ৩ জনকে দেখতে পান। প্রধান শিক্ষকও এ সময় স্কুলে ছিলেন না। খবর ছড়িয়ে পড়লে স্কুল ফাঁকি দেয়া শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা অফিসে হাজির হয়ে আর স্কুল ফাঁকি দিবেন না বলে মুচলেকা দেন। জেলা শিক্ষা অফিসার মকছেদ আলী খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, হীরাডাঙ্গা স্কুল পরিদর্শনে গেলে শিক্ষকদের উপস্থিতির হার ভালো ছিলো না। এ বিষয়ে হীরাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক সাবদার আলী জানান, বৃষ্টির কারণে আমরা দেরিতে পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এজন্য স্যারেরাও যথা সময়ে স্কুলে হাজির হন না। আমি স্কুলের জরুরি কাজে ঝিনাইদহে ছিলাম। তিনি বলেন আর এমন হবে না বলে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছি।