হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ হাইস্কুলে গোপন কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত : ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসমুখি হচ্ছে

 

 

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু প্রিয়নাথ হাইস্কুলে গোপনে কমিটি গঠন করায় স্থানীয় নাগরিক সমাজের ক্রোধের মুখে স্কুল থেকে বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। সেই থেকে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম। টানা ১৫ দিন ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় হুমকির মুখে পড়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ব্যাহত হয়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে অভিভাবকবৃন্দ। সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জোয়ার্দার, পৌর মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু, নিয়মিত এসএমসি’র সভাপতি সঞ্জয় কুমার রায় চৌধুরীসহ এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে সদ্য গঠিত নির্বাহী কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনসহ তার সমর্থকবৃন্দ ঝিনাইদহে এক সমঝোতা বৈঠকে বসেন। কিন্তু সে বৈঠকে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার ও মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি গত ১৯ আগস্ট যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আমিরুল আলম খাঁনের সাথে সাক্ষাৎ করে গোপনে কমিটি গঠনের বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। তিনি বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ১৪ আগস্টের মধ্যে চলমান শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি সাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় সদ্য কলেজিয়েট স্তরে উন্নীত হওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু মিডিয়াকে জানান, বোর্ড চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানটির চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যেহেতু ১৪ আগস্টের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি স্তর পরিবর্তনের নীতিমালা অনুসরন শিথিল হয়ে পড়েছে। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসকে বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখায় সদ্য অনুমোদিত নির্বাহী কমিটি বাতিলের আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে নির্বাহী কমিটি বাতিলের আবেদনপত্র বোর্ডে জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরমেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুর সভাপতিত্বে বুধবার দুপুর ২টায় স্কুল কার্যালয়ে শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকদের এক যৌথ সভায় আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সিদ্ধান্ত জানার পর থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।