হরিণাকুণ্ডু পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক গ্রেফতার : ওসির অপসারণ দাবি

 

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: হরিণাকুণ্ডু পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি স্বাধীন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার করে গতকাল বুধবার সকালে কুলবাড়িয়া বাজারের যাত্রাগানের প্যান্ডেলের একটি মারামারি মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল কবীর জানান, নৃসিংহপুর গ্রামে এক বিয়েবাড়িতে পুলিশের এক ডিআইজির উপস্থিতিতে স্বাধীন ও বিপ্লব খাবার কেড়ে নেয়। এ সময় বিয়েবাড়ির লোকজনের সাথে তাদের মারামারি হয়। পরবর্তীতে নৃসিংহপুর গ্রামের ওই যুবকরা হরিণাকুণ্ডুর কুলবাড়িয়া বাজারে যাত্রা দেখতে এলে তাদের মারধর করে টাকা ছিনতাই করে স্বাধীন ও বিপ্লব। মঙ্গলবার কুষ্টিয়া ইবি থানার নৃসিংহপুর গ্রামের সাইদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি স্বাধীন ও বিপ্লবসহ ১০/১৫ জনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করলে সেই মামলায় হরিণাকুণ্ডুর চটকাবাড়িয়া গ্রামের গুটুর ছেলে স্বাধীন আহম্মেদ, ঝান্টুর ছেলে বিপ্লব হোসেন ও ইসলামের ছেলে আব্বাস উদ্দীনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা ছাত্রলীগ নেতা কি-না তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন ওসি এরশাদুল কবীর। এদিকে হরিণাকুণ্ডু পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ বুধবার এক জরুরি সভা আহবান করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা বিশারত আলী, পৌর মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু,  মনজের আলী, আতিয়ার রহমান, ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ আলী বুড়ো, আশরাফুল হক জুয়েল, রাফেদুল হক সুমন, রাজু আহম্মেদ প্রমুখ। সভায় ওসি এরশাদুল কবীরের অপসারণের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ঘুষখোর ওসির অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় উপজেলা দোয়েল চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। এদিকে বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশের প্রচার মাইক জব্দ করে পুলিশ। এ সময় পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে। পরে ছাত্রলীগের ৫ কর্মীকে ছেড়ে দেয়া হলেও মাইক থানায় আটক রাখা হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদ জানান, হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তার হাত থেকে আওয়ামী লীগের লোকজনও রেহাই পাচ্ছে না। রানা হামিদ স্বাধীন ও বিপ্লবের মুক্তি দাবি করে অভিযোগ করেন, হরিণাকুণ্ডুতে বড় বড় সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার না করে মামলা দায়েরের মাত্র দু ঘন্টার মধ্যে পৌর ছাত্রলীগের দু নেতাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করেছে ওসি। তিনি ওসির অপসারণ দাবি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার জানান, পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আমরা বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছি।