হত্যামামলা : কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্ত

ফলো আপ : চুয়াডাঙ্গা ঝাঁঝরি কলম আলীর রহস্যজনক মৃত্যু

 

বেগমপুর প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ঝাঁঝরি গ্রামের কলম আলীর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। দাফনের প্রায় ৪ মাসের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার লাশ তুলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ঝাঁঝরি গ্রামের কলম নামের একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরদিন দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গুঞ্জন ওঠে, কলমের স্ত্রীকে তিন লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে অভিযুক্ত পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। এর প্রায় দু মাসের মাথায় স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মামলা করেন কলমের স্ত্রী। আদালতের আদেশে গতকাল কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়।

স্থানীয়রা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেছে, আজির বক্স মণ্ডলের ছেলে কলম আলীর (৩৫) কাছ থেকে একই গ্রামের আলম ও তার ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ গণ্ডা ভিটে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়। অভিযোগ ওঠে কলমের স্বাক্ষর জাল করে এ জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। এ নিয়ে কলম একটি মামলাও করেন। এরই এক পর্যায়ে গত ৫ মে কলমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। কলমের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। আলম ও তার ছেলে হাবিল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে বলে জানা যায়। গ্রাম্য মাতব্বরদের সহযোগিতায় ৩ লাখ টাকায় ঘটনাটি মীমাংসা করে নেয় বলেও খবর রটে। গ্রামের অনেকেই বলেছেন, কলমের স্ত্রী রেশমা খাতুন গত ৩০ জুন চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আমলি আদালতে হত্যামামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে কলমের লাশের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশের প্রেক্ষিত ঘটনার তিন মাস ২২ দিনের মাথায় অর্থাৎ গতকাল বৃহস্প্রতিবার সকাল ১১টার দিকে ঝাঁঝরি গ্রামের কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীনের উপস্থিতে কলমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী অফিসার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।