সৎপিতার হেঁসোর কোপে হেতো ছেলে মনির মৃত্যুশয্যায়

চুয়াডাঙ্গা পৌরকলেজপাড়ায় টাকা নিয়ে পিতা-পুত্রের বাগবিতণ্ডা

 

স্টাফ রিপোর্টার: সৎ পিতার ধারালো অস্ত্র হেঁসোর কোপে হেতো ছেলে মনির মৃত্যুশয্যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা ছাগলফার্ম পৌর কলেজপাড়ার নাসির ধারালো অস্ত্র দিয়ে হেতো ছেলে মনিরের ঘাড়ে কোপ মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকালই মনিরকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। দরিদ্র। অর্থাভাবে তাকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলো মনির।

জানা গেছে, মনির যখন কয়েক মাসের শিশু, তখন তার পিতা চুয়াডাঙ্গা বসুভাণ্ডারদহের রহিজ উদ্দীনের সাথে মা কোহিনুর খাতুনের বিচ্ছেদ ঘটে। কোহিনুর কোলের শিশু সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকেন। এক পার্যায়ে চুয়াডাঙ্গা ছাগলফার্ম পৌর কলেজপাড়ার নাসিরের সাথে বিয়ে করেন। নাসিরের এটা দ্বিতীয় স্ত্রী। ছোট বেলা থেকে মনির ওই নাসিরকেই নিজের পিতা বলেই জানে। আপন পিতার মতো আদরেই বড় হয়েছে সে। জীবননগরের এক গ্রামে মনির বিয়েও করেছে। এরপরও উড়নচণ্ডি ভাব তার ছিলোই। মাঝে মাঝেই বৈরাগী হয় সে। এরই এক পর্যায়ে গতকাল নিজেদের বাড়িতে পিতার সাথে টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। নাসির উদ্দীন রাগন্বিত হয়ে হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র হেঁসো দিয়ে ঘাড়ে বসিয়ে দেন কোপ। রক্তে বাড়ির উঠোন ভিজে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে।