স্মার্ট কার্ড দেশে অপরাধ ও দুর্নীতি দমন করবে

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট ন্যাশনাল আইডেনটিটি কার্ডের (একটি জাতীয় পরিচয়পত্র) সুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেশে অপরাধ ও দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ডও গতিশীল করবে। নির্বাচন কমিশন শিগগিরই এ কার্ড চালু করবে।

গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে স্মার্ট ফোনের উপস্থাপনাকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট কার্ডের সুবিধার কথা জানতে পারলে মানুষ এটি নিতে আগ্রহী হবে। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রকে একটি সুন্দর উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্মার্ট জাতীয পরিচয়পত্র প্রকল্পের মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহউদ্দিন পাউয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন। প্রকল্প পরিচালক বলেন, স্মার্ট পরিচয়পত্র চালুর জন্য ৯ কোটি মানুষের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। তিনি এর কারিগরি বিন্যাস ও ২৫ ধরনের নিরাপত্তার বিষয় উল্লেখ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে রুপায়ী তিন স্তরের নিরাপত্তা বিশিষ্ট এই পরিচয়পত্রের নকশা তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০১০’র আলোকে তৈরি এই স্মার্ট কার্ডের মেয়াদ হবে ১০ বছর। উপজেলা ও থানা পর্যায় পর্যন্ত এ প্রকল্পের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।