স্পিরিট পানে চুয়াডাঙ্গার হোগলডাঙ্গায় একজনের মৃত্যু

 

 

পদ্মবিলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হোগলডাঙ্গায় মাত্রারিক্ত স্পিরিট পানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার রাতে আবুল কালাম ওরফে বুড়ো মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সচেতনমহল ডিঙ্গেদহ ও কুশোডাঙ্গা বাজারের চিহ্নিত দুটি হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে।

জানা গেছে, হোগলডাঙ্গার মৃত পুটে বিশ্বাসের ছেলে আবুল কালাম ওরফে বুড়ো এলাকায় সচ্ছল ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। তিনি অনেকদিন ধরেই নেশাভাঙ করেন। স্থানীয়রা এরকমই তথ্য দিয়ে বলেছে, গত শনিবার রাতে নিজ বাড়ির অদূরবর্তী পুকুরপাড়ে বসে স্পিরিট পান করেন। আড্ডার একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় পানি দিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলা হয়। মাঝ রাতে আবারও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে দফা তাকে আর সুস্থ করে তোলা যায়নি। মৃত্যুর কোলে ঢুলে পড়েন তিনি। তার এক ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। মেয়ে বিবাহিত। বড় ছেলে মুরগির ব্যবসা করেন।

এলাকার সচেতনমহল অভিযোগ উত্থাপন করে বলেছে, দীর্ঘদিন ধরেই কুশোডাঙ্গার এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তার দোকানে স্পিরিট বিক্রি করেন। এ ছাড়াও ডিঙ্গেদহ বাজারের একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানেও বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রি করা হয়। এসব দোকান থেকে স্পিরিট কিনে নেশা করতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। বিষয়টির দিকে পুলিশের বিশেষ নজর দেয়া দরকার বলে দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতনমহল।