স্ত্রীর কাছে পাত্তা না পেয়ে ক্ষুব্ধ মিজানের অঙ্গচ্ছেদ

ঝিনাইদহ মহেশপুরের স্বরূপপুরে অনাবরত রক্তক্ষরণে চাঞ্চল্য : অবশেষে চুয়াডাঙ্গায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রী পাত্তা দেয় না, বাড়িতে বার বার বলেও দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করে না। এ কারণেই রাগে ক্ষোভে অঙ্গচ্ছেদ ঘটিয়েছেন ২৮ বছরের মফিদুল ইসলাম মিজান। তিনি মহেশপুরের স্বরূপপুরের আরজেদ আলীর ছেলে। গতকাল শনিবার তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে হাসপাতালের অদূরবর্তী মা নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

কেন তিনি তার পুরুষাঙ্গের মাঝামাঝি থেকে কেটেছে? মিজান সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি নীরব থেকেছে। গতকাল শনিবার সকালে তিনি গ্রাম সংলগ্ন একটি পানবরজ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের হন। বিষয়টি প্রথমে গোপন করতে চাইলেও অনাবরত রক্তক্ষরণের কারণে তা গোপন রাখতে পারেননি। পরে তাকে তার পরিবারের লোকজন তাকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালে নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলেও সেখান থেকে তাকে সরিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। তিনি নিজে নাকি অন্য কেউ তার অঙ্গচ্ছেদ ঘটিয়েছে তাও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে মিজানের সাথে থাকা লোকজন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ৭/৮ বছর আগে জামিরন খাতুনের সাথে মিজানের বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছরের মাথায় সন্তান আসে। পুত্র সন্তানের বয়স এখন ৪ বছর। আনুমানিক তিন বছর আগে জামিরন খাতুন তার স্বামী সংসার ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। সেখানেই বসবাস করে সে। এদিকে বাইসাইকেল-রিকশা মেকার মফিদুল ইসলাম মিজান নিজ বাড়িতেই থাকেন। মাঝে মাঝে তিনি তার স্ত্রীর কাছে যান। সেখান থেকে ফিরে এসেই তিনি দ্বিতীয় বিয়ের দাবি তোলেন। এতে পরিবারের লোকজন তেমন সাড়া না দিলে মিজান ক্ষোভের আগুনে জ্বলতে থাকেন।

পরিবারের লোকজন এসব তথ্য দিয়ে বলেছেন, বাড়িতে বার বারই বলে বিয়ে দাও। ও বউ আমার আর নেই। আমার থাকবে না। জামিরনের সাথে বিচ্ছেদ ঘটাতে হবে। এ কথায় কেউ সাড়া দেয়নি। গত ৪ দিন আগে তিনি তার স্ত্রী জামিরনের কাছে ঢাকায় যান। সেখান থেকে ফিরে দু দিন ধরে মন খারাপ করে ঘুরতে থাকে। এরই একপর্যায়ে শনিবার সকালে তিনি বাড়ির অদূরবর্তী একটি পানবরজের ভেতরে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনি তার নিজের লিঙ্গ শরীর থেকে বিছিন্ন করে ফেলেন। বিষয়টি প্রথমে গোপন করার চেষ্টা করলেও রক্তক্ষরণের কারণে তা আর গোপন রাখতে পারেননি।