স্কুলছাত্র সজিব হত্যার বিচারের দাবিতে দামুড়হুদায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র সজিব হত্যার বিচার এবং খুনিদের অভিলম্বে গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবিতে দামুড়হুদায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা শহরের চৌরাস্তার মোড়ে হলি লাইফ ক্লাব ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিউল কবির ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম, ডিএস দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার জয়নাল আবেদীন, দামুড়হুদা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন, গোপন, বাবু, তোতাম, আমিরুল, হলি লাইফ ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা জান মোহাম্মদ সেলিম, সভাপতি আরজু আহম্মেদ রাকিব, দশমী স্টার ক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুট্টু, সজিবের মামা আব্দুল হালিম। উপস্থিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম রশিদ, রকিবুল ইসলাম, সোহেল, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সবুজ, লিটন, আতিয়ার প্রমুখ। বক্তারা সজিব হত্যা ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণ থেকে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র দামুড়হুদা ব্রিজপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে সজিব নিখোঁজ হয়। এ সংক্রান্তে নিহত সজিবের নানা আব্দুল হামিদ পর দিন দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। নিখোঁজের ৩২ দিনের মাথায় চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ার মৎস্য ভবনের পাশের একটি লাইট ফ্যাক্টরির সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ৩১ আগস্ট বুধবার সকালে স্কুলছাত্র সজিবের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়। মোবাইল ট্রাকিঙের মাধ্যমে হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই লাইট তৈরির ফ্যাক্টারিতে অভিযান চালায় ৱ্যাবের একটি বিশেষ টিম। তারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় প্রায় ২৫ ফুট গভীর সেফটিক ট্যাংকের মধ্য থেকে সজিবের লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে নিহত সজিবের মামা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত বাড়ির মালিক কুরবান আলী ও তার স্ত্রী-ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়।