স্কুলছাত্রী রুবিনার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি নিয়ে মহল্লাবাসীর মিছিল মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: ‘স্কুলছাত্রী রুবিনা খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মরেনি, তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ রুবিনার প্রতিবেশী হুমায়ুন কবিরকে ধরে ঠিকমত জিজ্ঞাসাবাদ করলেই রহস্য বেরিয়ে আসবে। হত্যাকারীকে ফাঁসি দিতে হবে।’ মহল্লার প্রতিবাদী জনতা লাশ দাফনের পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিলসহ মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়ে বলেছে, ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রুবিনার ময়নাতদন্ত ঠেকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর এখন উল্টো রিপোর্টের জন্য চেষ্টা চলছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের হকপাড়ার অদূরবর্তী দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ার হতদরিদ্র চায়না খাতুনের মেয়ে রুবিনা প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। পিতা রবিউল ইসলাম রবি ঢাকা কুনাবাড়িতে বসবাস করে। সেখানে তার পৃথক সংসারও রয়েছে। গত সোমবার দুপুরে রুবিনার মৃতদেহ দক্ষিণগোরস্থানপাড়াস্থ বাড়ির ওঠোনের আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে পিতা রবি ফিরে লাশের আলামত দেখে বলেন, অতোটুকু মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। সে খেলতে গিয়েও গলায় ফাঁস লেগে মরেনি। ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অবশ্য এর আগেই প্রতিবেশীদের অনেকেই মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গড়িমশি করতে থাকে। অবশেষে সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়। পরদিন মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। অপরদিকে রুবিনার এক প্রতিবেশীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়দের অনেকেই বলেন, সুদ কারবারি ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেই সব প্রকাশ পাবে।
লাশ দাফনের পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে হকপাড়া, দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ার সাধারণ মানুষ মিছিল নিয়ে রেললাইন হয়ে রেলবাজারের শাহাবুদ্দিন মার্কেটের সামনে হাজির হয়। সেখানে মানববন্ধন গড়ে তোলে। নেতৃত্বের অগ্রভাগে ছিলেন রবি, সেকেনদার, বাবু টোটসহ অনেকে। তারা বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, লাশ উদ্ধারের সময়ই স্থানীয়রা স্পষ্ট বুঝেছে রুবিনাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশী হুমায়ুন কবিরসহ তার লোকজন ময়নাতদন্ত ছড়াই লাশ দাফনের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন। তখনই সন্দেহটা গাড় হয়। তাছাড়া রুবিনাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তে নিশ্চয় এসব উঠে আসবে।
পুলিশ বলেছে, ময়না তদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।