স্কুলছাত্রী নূপুরকে সমাহিত : আত্মগোপনেই রয়েছে ভাই সাইমুন

 

স্টাফ রিপোর্টার: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নূপুরের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সমাহিত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে খেজুরা মিশনারি গির্জায় নেয়া হয় মৃতদেহ। এর আগে নূপুরের মা মালা সরকার বলেন, নূপুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরশু সন্ধ্যায় ঘটনার পর পুলিশি জটিলতা এড়াতে হৃদরোগে মারা গেছে বলে জানানো হয়েছিলো। অবশ্য স্থানীয়দের দাবি, সাইমুন পিটিয়ে ছোট বোন নূপুরকে মেরে ফেলে আত্মগোপন করেছে। গতকালও তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পরশু রাতেই খেজুরা মিশনারি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। গতকাল শনিবার সকালে হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে নিকটজনদের নিকট মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের খেজুরার খ্রিস্টান মিশনারির বিমল সরকারের মেয়ে নূপুরকে গতপরশু সন্ধ্যায় নেয়া হয় ডিঙ্গেদহের আবদুল বারী ডাক্তারের নিকট। তিনি তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। লাশ মিশনারিতে নিয়ে বলা হয়, হৃদরোগে নূপুর (১২) মারা গেছে। অবশ্য ঘটনার পর থেকেই গুঞ্জন ওঠে নূপুরকে তার বড় ভাই সাইমুন শাসন করতে পিটুনি শুরু করে। পিটুনির এক পর্যায়ে নূপুর বমি করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে মৃতপ্রায় অবস্থায় তাকে নেয়া হয় বারী ডাক্তারের নিকট। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মৃতদেহের শরীরে আঘাতের দাগ দেখে সন্দেহ ঘনীভূত হয়। গতকাল লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।