সৈয়দ আশরাফকে দেয়া হতে পারে নতুন দায়িত্ব

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে খুব শিগগিরই সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে লন্ডন যাত্রা আপাতত স্থগিত করেছেন তিনি। গত চারদিনে সৈয়দ আশরাফকে ডেকে নিয়ে তিন দফা কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের বিদ্যমান কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে অথবা নতুন কোনো পদ সৃষ্টি করে তাকে দায়িত্ব দেয়া যায় কিনা- সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্টরা। দেশ ও দলে আশরাফ ও তার পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করে তাকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করা হবে বলে আভাস দিয়েছেন সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা।

আশরাফ ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, সর্বশেষ গতকাল প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে আশরাফের সাক্ষাৎ হয়। এদিন ইফতারের পর সাতটা পাঁচ মিনিটে তিনি গণভবনে ঢোকেন এবং সাতটা ৫৫ মিনিটে গণভবন থেকে বের হন। এছাড়া রোববার ও মঙ্গলবারও তাদের দু দফা দীর্ঘ বৈঠক হয়। সূত্র জানায়, বুধবারের সাক্ষাতে আশরাফকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার (আশরাফ) ও তার পরিবারের অবদান এবং ভূমিকার কারণেই তাকে আরও সম্মানিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। তাকে আরও বড় কোনো দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। ওই সময় আশরাফও ইতিবাচক সাড়া দেন। এদিকে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে তার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আশরাফের লন্ডন যাত্রা বাতিল হয়ে যাওয়ায় গতকালই সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে এ ব্যাপারে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। নেতাদের মধ্যে যে বিষয়টি জোরেশোরে আলোচিত হয়েছে সেটি হচ্ছে- আশরাফকে জনপ্রশাসন অথবা তার প্রত্যাশিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। এছাড়া উপ-প্রধানমন্ত্রীর একটি নতুন পদ সৃজন করে তাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও কোনো কোনো নেতার মুখে শোনা গেছে। তবে এ ব্যাপারে সাংবিধানিক জটিলতা থাকায় আপাতত উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন না সরকারের সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হারানোর পর গত সোম ও মঙ্গলবারের দুটি ঘটনায় নিশ্চিত হয় যে, পোর্টফলিও ছাড়া কাজ করছেন না আশরাফ। এর মধ্যে একটি হচ্ছে- সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ না দেয়া, অন্যটি মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকা। শপথ অনুষ্ঠানে আশরাফকে না দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার রাতে তাকে গণভবনে ডেকে পাঠান। সেখানেই ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে এবারের মতো লন্ডন যাত্রা বাতিল করেন আশরাফ। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন লন্ডন যাত্রা বাতিল করার কথা নিশ্চিত করেন। তোফাজ্জল আরও জানান, সরকারি গাড়ি ফেরত দেননি আশরাফ। আরও জানা গেছে, গতকাল সারাদিন বাসাতেই কাটান আশরাফ। এদিন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ আশরাফের আত্মীয়স্বজন এবং নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীরা তার সাথে দেখা করতে যান।