সুষম শিক্ষার আলোকে বিকশিত করতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে

দর্শনা লিটিল এনজেলস্ স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া ও পুরস্কার বিতরণকালে এমপি আলী আজগার টগর

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা লিটিল এনজেলস ইন্টা. ন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিনভর এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। বিকেলে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেন, জন্মের পর মায়ের মুখ থেকে আমরা যে ভাষায় কথা বলি এ ভাষা এক সময় কেড়ে নিতে চেয়েছিলো দুর্বৃত্তরা। এ দেশের দামাল ছেলেরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে মায়ের ভাষায় কথা বলার দাবি প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। তারা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। বর্তমান প্রজন্মকে ভাষা আন্দলোন ও মুক্তি যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে। দেশ ও জাতীর উন্নয়নে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একটি শিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখড়ে পৌঁছে দিতে। বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে পারে দেশের পরিচয়। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার মান অবশ্যয় উন্নত করতে হবে। কারণ প্রাথমিক শিক্ষার মানের ওপর ভিত্তি করেই উচ্চ শিক্ষার লক্ষ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। অঞ্চলের শিক্ষা ক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনতে হবে সোনালী অতিত। মনে রাখতে হবে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলা-ধুলার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে ছেলে-মেয়েদের। শিক্ষার মানোন্নয়নে যা করণীয় আমি এলাকার নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সে কাজগুলো করে যাচ্ছি।

প্রধান আলোচকের আলোচনাকালে চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, এ প্রজন্মের সোনালী ভবিষ্যতের জন্য এ ধরণের আয়োজনের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। অন্যথায় সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আজকের সোনার সন্তানরা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়লে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হবে। ধূলিশ্বাত হবে পরিবারের স্বপ্ন। তাই আসুন মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি। মাদক কারবারিদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, আজকের প্রজন্মের মনে বপন করতে হবে সু-শিক্ষার বীজ। আগামী দিনের ভবিষ্যত ও দেশ গড়ার কারিগররা যাতে সৃজনশীল ও সুনাগরিক হিসেবে গোটা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে সে জন্য শিক্ষক-অভিভাবককে দায়িত্ববান হতে হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভিন বলেন, সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার সবচেয়ে বড় কারিগর তার মা। তাই সন্তানকে সুশিক্ষিত করতে মায়ের ভূমিকা অপরিসিহীম।

দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কাস পার্টি নেতা সৈয়দ মজনুর রহমান, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম ও দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শোনিত কুমার গায়েন। স্কুলের পরিচালক স্বরূপ দাসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা করেন শিক্ষক আরতি হালসনা ও মিল্টন কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের অধ্যাক্ষ বিকাশ কুমার দত্ত, শিক্ষক রেজাউল করিম, প্রলয় শীল, সাধন কুমার, রফিকুল ইসলাম, শীলা, পপি, রিমি, লতিফা, মৃত্তা, লতা প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন, শিক্ষক কুমকুম আলম, আরতি হালসনা ও জালাল উদ্দিন।