সুশীল সমাজের সাথে ইসির সংলাপ আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ সোমবার সুশীল সমাজের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে ৫৯ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সংলাপে সুধী সমাজের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েকজন অনুপস্থিত থাকছেন বলে জানা গেছে। এদের কেউ কেউ বর্তমানে বিদেশে  রয়েছেন। কয়েকজন অসুস্থ এবং কেউ কেউ নিজেদের ব্যস্ততার জন্য সংলাপে অংশ নিতে পারছেন না। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ইসি ঘোষিত সাত কর্মপরিকল্পনাসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মতামত তুলে ধরবেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। তবে এই সংলাপে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমের  কোন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। অবশ্য সংলাপ শুরুর আগে ছবিগ্রহণের জন্য ক্যামেরাম্যানদের জন্য ৬ মিনিট বরাদ্দ করেছে ইসি।

সংলাপের বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। সেই আলোকে দেশবরেণ্য যারা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আছেন তাদের সাথে মতবিনিময় করা হবে। আমন্ত্রিত অতিথিরা যে যতোক্ষণ বক্তব্য রাখবেন, সেগুলো শোনা হবে।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আজকের সংলাপে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রবজ্ঞানী, কলামনিস্ট, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক ও সাবেক আমলারাও রয়েছেন। এই সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সাথেও সংলাপে বসবে।

আমন্ত্রিত যারা: অংশীজনের সাথে সংলাপের প্রথম ধাপে যে ৫৯ জন ইসির আমন্ত্রণ পেয়েছেন তারা হলেন-সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, আকবর আলী খান, রাশেদা কে চৌধুরী, রোকেয়া এ রহমান, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, এম. হাফিজ উদ্দিন খান, মির্জা আজিজুল ইসলাম, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক আবুল বারাকাত, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন্সের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিএলআইএ পরিচালক ওয়ালিউর রহমান, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান, অধ্যাপক তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী, নিজেরা করির নির্বাহী পরিচালক খুশি কবির, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলী ইমাম মজুমদার, সঞ্জীব দ্রং, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এএফএম গোলাম হোসেন, আবুল কাশেম, ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, মো. হুমায়ুন কবির, ড. সাদত হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, মুভ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল হক, ড. জহুরুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হাফিজ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সেড’র নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গাইন,  অবসরপ্রাপ্ত মেজর এসএম শামসুল আরেফিন, ব্রতি’র সিইও শারমিন মুরশীদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, আবুল হাসান চৌধুরী, দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, বিএসএস চেয়ারম্যান রাহাত খান, চ্যানেল আই’র শাইখ সিরাজ ও প্রথম আলোর মিজানুর রহমান খান।