সুফিয়া কামালের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত, প্রথিতযশা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম সুফিয়া কামালের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে একটি অভিজাত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সুফিয়া কামাল ছিলেন মানবতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে এবং যাবতীয় অন্যায়, দুর্নীতি ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার একজন নারীনেত্রী।

তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতি কর্মীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে তাকে প্রথম রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। শোক বাণীতে তিনি বলেন, আজীবন সংগ্রামী এ মহীয়সী নারী ৫২র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ৭১র মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে যে ভূমিকা রেখেছিলেন তা আজো আমাদের জন্য অনুকরণীয়। সুফিয়া কামাল যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেখানে নারী শিক্ষাকে প্রয়োজনীয় মনে করা হতো না। মাত্র ১২ বছর বয়সে সৈয়দ নেহাল হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সরাসরি যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম পরিষদ (বর্তমানে মহিলা পরিষদ) গঠিত হলে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাচিত হন।

স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছেন, কার্ফ্যু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেছেন। মুক্তবুদ্ধির পক্ষে এবং সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে আমৃত্যু তিনি সংগ্রাম করেছেন।